গাইবান্ধা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরকাপাসিয়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে সরকারি অর্থের ব্যয় হলেও মিলছে না কাক্সিক্ষত সফলতা। যেন দেখার কেউ নেই। গত রোববার দুপুর ১টায় সরেজমিনে ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ৩ জন সহকারী শিক্ষকের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত। প্রধান শিক্ষক সায়ফুর রহমান ম-ল নির্বাচন অফিসে চলে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত আসেন না। এ ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সঠিক তদারকির অভাবে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। যেন দেখার কেউ নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্রধান শিক্ষক সায়ফুর রহমান ম-ল এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যস্ত আছি। পরে কথা হবে। অপরদিকে, ঐদিন সরেজমিনে চরকাপাসিয়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থী নেই। বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানান, একটু আগে ছুটি দিয়ে সবাই চলে গেছে। বিদ্যালয়টি ২ শিফটের হলেও প্রতিদিন ২টার দিকে ছুটি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও এর কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, আমি বাইরের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বিদ্যালয়ে না থাকার সুবাদে সহকারী শিক্ষকরা তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়েছে। এ বিষয়ে এ দুটি ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র বর্মণ জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।