যশোরে জমির মালিক ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দখল, চাঁদাবাজি, বোমাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান এস.এইচ. বিল্ডার্স এর মালিক এস.এম. রফিকুল ইসলাম হীরক।
রবিবার (৯ নভেম্বর ) যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
রফিকুল ইসলাম হীরক জানান, যশোর শহরের ৭৬, কারবালা রোডে ওয়াবদা অফিসের সামনে হাসান টাওয়ার নামের একটি ভবন তিনি ডেভেলপার হিসেবে নির্মাণ করছেন। কিন্তু জমির এক অংশের মালিক তাসলিমা হাসান, ফেন্সি হাসান, জিসান, মেয়ের জামাই এবং নারাঙ্গালী গ্রামের আনোয়ার গাজী, তুষার গাজীসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। তারা নির্মাণাধীন ভবনের ষষ্ঠ তলার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে দখল নিয়ে বসবাস করছেন এবং ফ্ল্যাটে থাকা প্রায় সাত লক্ষ টাকার নির্মাণ সামগ্রী লুট করেছেন। এতে আরও কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম হীরক বলেন, ঘটনাটি জানার পর তিনি ভবনে গেলে অভিযুক্তরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রাতে একই স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাকে ও তার মাকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এতে আতঙ্কে তিনি ও তার মা বাড়িতে যাওয়া বন্ধ রেখেছেন, ফলে নির্মাণ কাজও বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, এর আগেও অভিযুক্তরা তার গুদামঘরের তালা ভেঙে প্রায় আট লাখ টাকার সামগ্রী ও ১৮ হাজার ইট চুরি করে বিক্রি করেছেন। এছাড়া ফেন্সি হাসান তার কাছ থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা এবং তাসলিমা হাসান ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে দাবি করেন।
রফিকুল ইসলাম হীরক অভিযোগ করেন, জমির মালিকদের সাথে কোনো ভাড়াচুক্তি না থাকা সত্ত্বেও তাসলিমা হাসান ও ফেন্সি হাসান মাসিক ৫ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন। এমনকি তার অনুমতি ছাড়াই ভবনের গোডাউন ঘর অন্যের কাছে ভাড়া দিয়েছেন এবং দোকানঘর নির্মাণ করে ভবনের সামনে লোহার সিঁড়ি বসিয়েছেন। এতে তার ফ্ল্যাট বিক্রি ও নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
ডেভেলপার হীরক আরও বলেন, তাসলিমা হাসান অবৈধভাবে দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত অংশ নির্মাণ করেছেন, যা নকশাবহির্ভূত। ২০২৪ সালের এপ্রিলে তিনি ওই অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার চুক্তি করলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করেননি, ফলে ফ্ল্যাট ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে ভবন ছাড়ছেন।
রফিকুল ইসলাম প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, ঘটনাগুলো তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে এবং তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।