পাবনা সংবাদদাতা : ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর বালুমহালের আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলীর ঘটনায় ৭ জন গুলীবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর দু’জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যাান্যদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট এলাকার চরের বালুমহালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন গোলাগুলীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রামের রেজাউল হক লালু, তালতলা এলাকার সানাউল্লাহ প্রামাণিক, রূপপুর তিন বটতলা এলাকার চপল হোসেন কালু, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম এলাকার মৃত জামবার আলীর ছেলে সেলিম আহমেদ, একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে সৈকত ইসলাম, ভেড়ামারা থানার গোলাপনগর গ্রামের হযরত আলীর পুত্র রিপন হোসেন এবং একই এলাকার শাহীন আলমের পুত্র রাসেল। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম ও সৈকতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া অংশের বালুমহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি। তিনি উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক। অন্যদিকে নাটোরের লালপুর চরের বালুমহালের ইজারা পান মোল্লা ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বালু উত্তোলন ও বালু বহনকারী নৌকার খাজনা আদায়কে ঘিরে সংঘর্ষে জড়ায় এই দুই পক্ষ। এসময় গোলাগুলীর ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, এ ঘটনায় সাতজন গুলীবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক এখন। ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।