শতবর্ষী ব্যবসায়ী সংগঠন চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে আবারও একপক্ষীয় পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিবারতন্ত্রের দীর্ঘ গ্লানি মুছে নতুন নেতৃত্ব গঠনের যে স্বপ্ন ছিল ব্যবসায়ী সমাজের, সেটি এবারও বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে না বলেই মনে করছেন তারা।
তথ্য অনুযায়ী, ২৪ পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট ৭২ জন ব্যবসায়ী নেতা নমিনেশন ফরম নিয়েছেন। কিন্তু শেষ দিন গতকাল শনিবার পর্যন্ত জমা পড়েছে মাত্র একটি ফরম। আজ রোববার পর্যন্ত জমার সুযোগ থাকলেও পর্যাপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে নির্বাচন একপাক্ষিক হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে।
চেম্বারের নির্বাচন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সাত দিনে ৭২টি ফরম সংগ্রহ করা হয়। শেষ দিন বিকেল ৪টার মধ্যে জমা হয় একটি ফরম। এ বিষয়ে নির্বাচন বোর্ডের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আহমদ হাছান বলেন, “এখন পর্যন্ত একটি ফরম জমা পড়েছে। অনেকে শেষ মুহূর্তে ফরম নিয়েছেন। তাই সময় সংকটে জমা দিতে পারেননি। আমরা আশা করছি, আজ (রোববার) তারা জমা দেবেন।” তবে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এবার বেশ কিছু বাড়তি কাগজপত্র চাওয়ায় অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। যেমন— বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্বচ্ছলতার সনদ। সেটি সরাসরি দেওয়া হয় না, বরং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হয়। শুক্রবার-শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় অনেকেই ফরম জমা দিতে পারেননি। ফলে যথেষ্ট প্রার্থী না থাকলে চেম্বার আবারও একপক্ষীয় হয়ে যাবে। এদিকে, যারা নমিনেশন জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন স্বদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি সহজেই ফরম জমা দিয়েছি। প্রক্রিয়াতেও কোনো জটিলতা হয়নি। রিসিভিংয়ের দায়িত্বে যারা ছিলেন তারাও সহযোগিতা করেছেন।” তবে তিনি যোগ করেন, “আজকের (২১ সেপ্টেম্বর) পর চূড়ান্ত পরিস্থিতি বোঝা যাবে। বেশি প্রার্থী জমা দিলে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে, আর যদি প্রার্থীই না থাকে তাহলে নির্বাচন সুন্দরভাবে আয়োজন করা সম্ভব হবে না।”
নির্বাচন কমিশনার মনোয়ারা বেগম বলেন, “আমরা বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী ধাপে ধাপে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফরম জমা নেওয়া হবে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।”