সাভার সংবাদদাতা : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত শ্রমিক যারা রয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্য কি কি করা যায়, এছাড়াও যেসব দাবি রয়েছে, আমাদের একটি ট্রাস্ট ফান্ড আছে, সেগুলো কিভাবে করা যায়, সেগুলো আমরা বিবেচনা করবো।
বৃহস্পতিবার রানা প্লাজার সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই কথা জানান তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, “আমি আজ জুরাইন কবরস্থানে গিয়েছি, সেখানে অজ্ঞাতনামা প্রায় ২৫০ জনের মত লাশ আছে, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রথম আমি সকালে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি, এবার আজকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মত এখানে এসেছি। এখানে আসার পরে আমরা শ্রমিকদের যেই দাবিগুলো রয়েছে সেগুলো এনডোর্স করছি। পাশাপাশি এই মুহুর্তে সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ যে এটির বিচার হওয়া, যেটি ১২ বছরে হয়নি। আমি ইতোমধ্যে যেটি ব্যবস্থা নিচ্ছি যে আগামী বছর যখন আমরা এই দিনটি পালন করবো, তখন দেখবেন যে বিচারের একটি বড় অংশ শেষ হবে”।
শ্রম। সচিব এসময় আরও বলেন, রানা প্লাজা ধসের আজ ১২ তম দিবস, এক যুগ পার হলো। এই এক যুগ পার হওয়ার পরেও শ্রমিকদের যেই অধিকার, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেই শ্রম অধিকার আছে, এখনো আমরা সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, রানা প্লাজার ঘটনা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার মানা হয়নি, এবং সেটির কারনে যেই ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেটি হলো রানা প্লাজা, এই যে বিল্ডিংটা, শুধু এটি যিনি বানিয়েছেন তিনি না, তাকে যারা অনুমতি দিয়েছেন, এবং এখানে সরকারি যেই দপ্তরগুলো আছে, সবার নেগলিজেন্সি ছিল। এই ঘটনার পরে সারা বিশ্বব্যাপী যখন হৈ চৈ পড়ে গেলো, তখন আমাদের ব্রান্ড বায়াররা আসলো, অ্যাকর্ড এলায়েন্স আসলো, এতে করে যেটি হয়েছে যে আমাদের যেই কারখানাগুলো বিশেষ করে আরএমজি কারখানাগুলো কমপ্লায়েন্সের মধ্যে আসলো।