নোয়াখালী সংবাদদাতা : প্রধান অতিথি মাওলানা মাছুম প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী কালিন সরকারের কাছে জোর দাবি জানান যে বিগত জুলাই ৩৬ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করেন।
গতকাল ১২ এপ্রিল, শনিবার স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এক রুকন (সদস্য) শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর জনাব ইসহাক খন্দকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল , কুমিল্লা - নোয়াখালী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবু তাহের মোঃ মা’ছুম।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন এর পরিচালনায় উক্ত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা - নোয়াখালী অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম।
তিনি এই আন্দোলনে বিগত ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী জালিম সরকার ও তার দোসরদের অতিশীঘ্রই বিচারের আওতায় আনা হয়, সে বিষয়ে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আন্দোলন কারী সকল শক্তি বিশেষ করে জামায়াতের সকল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে এ বিষয়ে দৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারে সে জন্য জোর দাবি জানান।
মাওলানা মা’ছুম আরো বলেন জামায়াতের সকল নেতা কর্মীদের সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। এবং এই দেশে মানবিক মূল্যবোধ,সাম্য ও ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর হতে পারে। তিনি বলেন জামায়াতের নেতা কর্মীদের এই কাজে কারো কাছে মাথা নত করা যাবেনা।
প্রধান অতিথি দেশের সকল নাগরিক কে ৫ ই আগষ্টের মত ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। স্বাধীনতার মিমাংসিত ইস্যুকে পুঁজি করে, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও ফিরিয়ে আনতে পরাজিত আওয়ামী শক্তি ও তাদের দোসররা এ সকল বিষয়ে সামনে নিয়ে আসছে। সংখ্যালঘুদের কথা বলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করে বহীশত্রুর হস্তক্ষেপের পরিবেশ তৈরি করতে রাতের অন্ধকারে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের এ সকল বিষয়ে চোখ কান খোলা রেখে পাহারাদারিত্তের ভূমিকা রাখতে হবে।
এটিএম মা’ছুম আরো বলেন আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী বর্বরতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে গাজায় ইসরাইলী নৃশংস হত্যাকা- বন্ধে বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতিসংঘকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
মাওলানা মা’ছুম তার বক্তব্যে জোর দিয়ে দাবি করেন যে দেশের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আলোকে ঐক্যমত্য কমিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্যতা ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন দিতে হবে। তার পাশাপাশি অতি দ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দিতে হবে। জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো টালবাহানা না করার অনুরোধ করছি। আমরা কোনো টালবাহানা সহ্য করবো না। প্রয়োজনে দূর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে দাবি আদায়ের পদক্ষেপ নিতে আমাদেকে বধ্য করবেনা। আমরা অন্তর্বর্তী কালিন সরকারকে সামগ্রিক ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমরা গঠনমূলক ও ন্যায্য সকল কর্মকান্ডে সরকারের সাথে আছি এবং থাকবো।