খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়িগেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম একটি এলাকা। মহাসড়কটির রেলক্রস সংলগ্ন পশ্চিম দিকে কুয়েট সংযোগ সড়কে দেশের অন্যতম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), খুলনা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এইচএসটিটিআই), খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোর প্রবেশদ্বার ফুলবাড়িগেট রেলক্রস সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের এলাকা।
মহাসড়কের এ স্থানটি দিযে দুর্ঘটনা এড়িয়ে ঝামেলামুক্ত ও স্বাচ্ছন্দে যাতায়াতের নিমিত্তে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) সাড়ে চার বছর আগে ওভারপাস নির্মাণের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু সেটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
জানা যায়, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ২০২১ সালের শুরুতে ফুলবাড়িগেট রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণের একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩শ’ কোটি টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে সম্ভাব্যতা যাচাই করে জমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় এক হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠিত কনসালট্যান্ট ফার্ম দিয়ে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হয়। কনসালট্যান্ট ফার্মের বিশেষজ্ঞরাও ফুলবাড়িগেট রেল ক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণের প্রয়োজনীতার স্বপক্ষে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন। রেল ক্রসিং এর উত্তর, দক্ষিণ ও কুয়েট সংযোগ সড়কের আধা কিলোমিটার এবং এক কিলোমিটার সাইড উইংসহ মোট দেড় কিলোমিটার জুড়ে “ওয়াই লুফ” আকৃতির ওভার পাসটি নির্মাণের পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রস্তাবনাটি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রস্তাবনাটি পাঠানো হয়েছে সাড়ে চার বছর আগে ২০২১ সালে। কিন্তু অদ্যবধি আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি। ফাইলবন্দি অবস্থায় রয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যদের সরেজমিনে প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন ও ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়াদি নিয়ে কেডিএ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত সাড়ে চার বছরেও মন্ত্রণালয় থেকে ওই কমিটির সদস্যরা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে খুলনা সফরে আসেননি।
ফুলবাড়িগেট রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ত) মো. আরমান হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে কমিটির সদস্যরা পরিদর্শনে আসার পর আমরা প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিলে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো। তিনি বলেন, প্রথমাবস্থায় প্রকল্পের ব্যয় ৩শ’ কোটি টাকা ধরা হলেও পরবর্তীতে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পের ব্যয় আনুমানিক এক হাজার কোটি টাকা ধরা হয়। কিন্তু প্রকল্পটির ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোন সাড়া মেলেনি।’