মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, সুনামগঞ্জ (হাওড়) থেকে ফিরে : শুধু বর্ষায় নয়, এখন সারাবছরই সুনামগঞ্জের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঢল নামে হাজার হাজার পর্যটকের। সীমান্তবর্তী এই জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পর্যটকরা চষে বেড়ায়। এখানে অল্প সময়েই টাঙ্গুয়ার হাওর, ওয়াচ টাওয়ার, টেকেরঘাট, নিলাদ্রী লেক, শিমুল বাগান, বারিক টিলা, স্বাধীনতা উপত্যকা, লাকমা ছড়া, টেকেরঘাটের নয়নাভিরাম ছোট ছোট টিলা, স্মৃতিসৌধ, মহেষখলার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, শাহ আরেফিনের (র.) আস্তানা, অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির এবং যাদুকাটা নদের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এসবের পাশেই হাতছানি দেয় ভারতের মেঘালয় পাহাড়। হাওড়, নদী, পাহাড়ের সৌন্দর্যের মেলবন্ধন এখানে।
দিন দিন এ স্পটগুলো পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয় হয়ে উঠছে। তবে পর্যটকের উপস্থিতি বাড়লেও সেভাবে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। পর্যটকেরা সহজেই এসব স্পট ঘুরে দেখতে পারেন না যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে। দর্শনীয় স্থানগুলো কাছকাছি হলেও এসব স্পটে যাবার সড়কগুলোর অবস্থা খুবই বিবর্ণ। প্রায় সড়কই ভাঙ্গা, খানা খন্দকে ভরা। এছাড়া রয়েছে যানবাহন সমস্যাও। পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য পর্যাপ্ত হোটেল বা মোটেলের ব্যবস্থা নেই। জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোর পর্যটন স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও মানসম্পন্ন যানবাহনের অভাব রয়েছে। যার ফলে সৌন্দর্যের এ লীলাভূমি দেখে চোখ জুড়ানোর পরিবর্তে শঙ্কা আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের।
সম্প্রতি টাঙ্গুয়ার হাওড়সহ আশপাশের দর্শনীয় স্থান দেখতে আসা বেশ কয়েকজন পর্যটকের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। তারা উপভোগ্য এসব স্থানের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসিফ হাসান জানান, টাঙ্গুয়ার হাওড়, নিলাদ্রী লেক, বারেকের টিলা, শিমুল বাগান ঘুরে খুব ভাল লাগছে। তবে এসব এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে বাকির টিলা যাওয়ার পথটি খুবই বাজে বলে জানান। যানবাহনের ভাড়া নিয়েও সমস্যাসহ এসব স্পটে খাবার হোটেল, ড্রেস চেঞ্জ ও শৌচাগারের অভাব রয়েছে বলেও জানান পর্যটক শরীফ। কাওচার নামে আরেক পর্যটক জানান, পর্যটন স্পটগুলোতে মোটরসাইকেল, অটোরিক্সার ভাড়া নির্ধারণ করা নেই। ফলে অনেক বেশি ভাড়া চায় যানবাহনের চালকরা। এখানে একটি সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠেছে। এরা যে ভাড়া চায় সেটি দিয়েই যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় তাদের নেই কোন ড্রেস। ড্রেস থাকলে চেনা যেত কারা পর্যটকদের পরিবহন করেন। এছাড়া এক স্পট থেকে অন্য স্পটে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। অধিকাংশ রাস্তাই খানা খন্দকে ভরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি’র) নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, শিমুল বাগান, বারেকেরটিলা, নিলাদ্রী লেক, টেকেরঘাট সড়কে কাজ ৩০ ভাগ হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এ সড়কটির কাজ শেষ হবে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী। তবে স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েকবছর ধরেই এসব স্পটের সড়কের কাজ চলছেই। কিন্তু সেভাবে অগ্রগতি নেই। জানা গেছে, এখানে একটি সিন্ডিকেট চায়না দ্রুত সড়কের কাজ শেষ হোক। যদি রাস্তার কাজ শেষ হয় তাহলে তাদের ব্যবসা কমে যাবে।
সূত্র মতে, টাঙ্গুয়ার হাওরে থাকার জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। কয়েকটা কটেজ থাকলেও সেগুলোর ভাড়া অনেক বেশি। এর পাশাপাশি নিরাপত্তা সংকটও রয়েছে। তবে অনেকেই নৌকায় রাত কাটান। এসব বোটের ভাড়া অনেক বেশি। জামিদার হাউজবোটে ম্যানেজার হৃদয় মিয়া জানান, তার হাউজবোটে ৯টি কেবিন রয়েছে। ৪ জনের ২টি কেবিন, ৩ জনের ৪টি কেবিন ও ২ জনের ৩ টা কেবিন রয়েছে। এছাড়াও হাউজবোটের লবি রয়েছে। লবিতে দুটি খাটে ৬ জন পর্যটক থাকতে পারেন। হৃদয় জানান, ৪ জনের কেবিন ভাড়া (২দিন ও এক রাত) ২০ হাজার টাকা, ৩জনের কেবিন ভাড়া ১৮ হাজার টাকা ও ২ জনের কেবিন ১৩ হাজার টাকা এবং লবির ভাড়া জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা। নীল জল হাউজবোটের ম্যানেজার আল আবির জানান, তার হাউজবোটে ৭টি কেবিন রয়েছে। এগুলোর ভাড়াও আকাশচুম্বী।
পর্যটক অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জ সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন এলাকা। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সুনামগঞ্জের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। তবে দুঃখ হলো অনেক পর্যটন স্পটে যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশার জন্য পর্যটকরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে সুনামগঞ্জকে পর্যটনবান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানান।
হাওড় ছাড়াও তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর নিকটবর্তী মানিগাঁও গ্রামে রয়েছে শিমুল বাগান। প্রায় ১০০ বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এ বাগান। ২০০৩ সালের দিকে তিন হাজার শিমুল গাছ রোপন করেন জয়নাল আবেদীন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। বসন্তকালে শিমুল বাগানের দিকে তাকালে গাছের ডালে ডালে লেগে থাকা লাল আগুনের ঝলখানি চোখে এসে লাগে। শিমুল ফুলের রক্ত লাল পাপড়িগুলো ভ্রমণপিপাসুদের মনকে রাঙিয়ে দেয়। কিন্তু রুক্ষ যাতায়াত পথ পর্যপকদের মধ্যে আতংক ধরিয়ে দেয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর শিমুল বাগান, টেকের ঘাট, নিলাদ্রী লেক ঘুরতে গিয়ে দেখা গেছে পর্যটকদের প্রচুর উপস্থিতি। এ সময় নরসিংদী জেলার শাহিনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি জানান, এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট ভাঙ্গাচুরা। স্পটে যাবার সময় মনে হয়, এই বুঝি পড়ে গেলাম, জীবন শেষ। এছাড়া এসব স্পটে পর্যটকদের জন্য শৌচাগার নেই।
তাহিরপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধি করুনা সিন্ধু চৌধুরী বলেন, বড় সমস্যা হচ্ছে অনুন্নত যোগাযোগ। পাশাপাশি পর্যটকদের থাকার ভালো কোনো সুবিধা নেই। পর্যটকেরা এসে বিশ্রাম নিতে পারেন না। শৌচাগার নেই। এখন অনেকেই আসেন, হাওড়ে ঘুরেন। কিন্তু কোনো শৃঙ্খলা নেই। এটিও ভাবতে হবে। পর্যটকেরা এসে যদি ভোগান্তিতে পড়েন, তাহলে একসময় তারা আসবেন না।
অপরূপ সৌন্দর্যের আরেক নাম আইফেল টাওয়ার খ্যাত বারেকটিলা। এ টিলার চারপাশে রয়েছে নয়নাভিরাম দৃশ্য। তবে টিলায় নেই নিরাপত্তা সীমানা। এছাড়াও উঠানামা ও টিলার ভেতরের সাড়ে চার কিলোমিটারের আঁকাবাঁকা রাস্তার তিন কিলোমিটারই ভাঙা। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই ভ্রমণ পিপাসুসহ সর্বস্তরের মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে এ রাস্তা দিয়েই। প্রতিদিনই পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে এসে টিলার চারপাশের সৌন্দর্যে ভ্রমণ পিপাসুরা সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেও ভাঙাচোরা রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার হওয়ায় এতে আতঙ্কে থাকেন বলে অনেক পর্যটক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, টিলায় ২৪ বছর আগে সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হলেও আজ পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি। ফলে টিলার নিচ থেকে উপরে উঠতে গেলে দেখা যায়, আঁকাবাঁকা রাস্তার স্থানে স্থানে পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার রড উঠে যাওয়ায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা। যানবাহন নিয়ে টিলার উপরে ওঠা-নামার সময় অসাবধানতাবশত স্লিপ করলেই তিনশ ফুট নিচে যাদুকাটা নদীতে পড়ে যাবার আশঙ্কায় আতঙ্কিত থাকেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ পর্যটকরা।
স্থানীয়রা বলছেন, ভ্রমণপিপাসুরা সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেও বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে হাজার হাজার পর্যটকসহ বেড়াতে আসা সবাই অসন্তুষ্ট। এই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তাদের। তারা বলছেন, জনপ্রতিনিধিরা সবাই কেবল আশ্বস্তই করেছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয় না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়গোপ টিলার পূর্বে যাদুকাটা নদী। উত্তরে ভারতের মেঘালয় পাহাড়। পশ্চিমে কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গ্রাম। গ্রামের পরে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প, তার দক্ষিণে টাঙ্গুয়ার হাওর। সব মিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এলাকাটি। টিলার মাঝখান দিয়ে একটি ছোট রাস্তা গেছে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে। টিলার আঁকাবাকা সড়কটি ভেঙে চলার অনুপযোগী হয়েছে অনেক আগেই। এখন কংকিটের ভাঙা সড়কটি এবড়োথেবড়ো হয়ে আছে। কিন্তু দেখার যেন কেউই নেই। টিলার ওপরের সড়ক দিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল চালকদের একটু অসাবধানতায় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সড়কের বেহাল দশার কারণে বাইকাররা অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। মানসিক প্রশান্তির জন্য এসে দুর্ঘটনার শিকার হলে, তার মতো দুঃখজনক আর কিছু নেই।
সুনামগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক মো. রাজা বলেন, বড়গোপ টিলা পর্যটন এলাকা হিসেবে নির্বাচিত হলেও রাস্তাঘাট ভাঙার জন্য সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। আমরা যারা পরিবার, বাচ্চাকাচ্চা সঙ্গে নিয়ে আসি তাদের অনেক কষ্ট হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের লাকমাছড়া নামের আরও একটি পর্যটন স্পট আছে যা অনেকের কাছেই অজানা। লাকমাছড়া দেখতে অত্যন্ত মনোরম। এখানে এক পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সীমানায় থাকা উঁচু উঁচু সবুজে ঘেরা পর্বতমালা, চুনা পাথরের বিশাল পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের আস্তরে ভারতীয় বিএসএফ জোয়ানদের ক্যাম্প, সুদূরে ছড়ার ওপর ঝুলে থাকা একটি বেইলি ব্রিজ ও ছড়ার বুকজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চুনাপাথর চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়। যা যে কোনো মানুষকে মনোমুগ্ধ করে। প্রকৃতি কন্যা লাকমাছড়া নিজ চোখে একবার না দেখলে অজানাই রয়ে যাবে। কিন্তু এই সড়কেরও বেহাল দশা। সামাণ্য রাস্তায় যেতে পর্যটকদের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এখানে নই ভালো মানের খাবার ও কাপড় পরিবর্তন করার ব্যবস্থা।
সম্প্রতি হাওড় পর্যটন উন্নয়নে সমীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (বিডি ইনবাউন্ড)। তারা এখানকার পর্যটন বিকাশে ২০ দফা সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণ, পর্যটকদের পর্যটনের সুযোগ সুবিধা উন্নয়ন, বিভিন্ন স্পটের সড়ক উন্নয়নকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, জেলায় পর্যটনের বিকাশে প্রশাসন নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওড়কে ঘিরে হাউজবোটভিত্তিক পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠায় সকল হাউজবোটকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিক হাউজবোট নিবন্ধন করেছে। টেকেরঘাট এলাকায় পর্যটকদের জন্য আধুনিক ওয়াশব্লক নির্মাণ করার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া সড়কগুলোর কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেটির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য টেকেরঘাটে নির্মাণ করা হবে বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন। এছাড়াও পর্যটন এলাকায় চলাচলরত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা এবং স্পিডবোট চালককে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনে নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওড়ের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে ওয়াচ টাওয়ার কাম টাঙ্গুয়ার হাওড় ম্যানেজমেন্ট অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক আরো জানান, বারেকের টিলায় মুনভিউ পয়েন্ট নির্মাণ করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও হাওড়পাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চালু করা হবে ভাসমান বাজার।
সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের রয়েছে মুক্তিসংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত নানা স্থান। বৈষ্ণব কবি রাধারমণ, মরমি কবি হাসন রাজা, জ্ঞানের সাগর দুর্বিন শাহ, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমসহ অসংখ্য সাধকের স্মৃতি। সংশ্লিষ্টরা বলেন, এ অঞ্চলের পর্যটনস্পটগুলোকে পর্যটকবান্ধব করে দিতে পারলে সুনামগঞ্জ হবে দেশের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণীয় জেলা। তারা বলেন, বিশেষ করে যাতায়াত ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই।