ফেনী সংবাদদাতা: ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় দারুল ইসলাম ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার এক যুগ পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে দেড়শ জনকে আসামী করা হয়েছে। জেলা জামায়াতের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন।
জামায়াতের জেলা আমীর জানান, ঘটনার পর সেই সময়ও মামলা করা হয়েছিল, তবে পুলিশ ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মামলাটি বিচার প্রক্রিয়ায় এগোতে দেয়নি।
এদিকে মামলার অপর আসামীদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ, জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, বর্তমান সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারি, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মিষ্টার, পৌর ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আলম রানা।
মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রোববার রাত আড়াইটার দিকে শহরের শান্তি কোম্পানী রোডের আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থিত জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসের কলাপসিবল গেইট ভেঙে আসামীরা ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় ওই ভবনের দারোয়ান প্রাণভয়ে পালিয়ে গেলে তারা অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা ফাটিয়ে অফিস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে গ্যারেজে থাকা নোহা মাইক্রো গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রে-চ-৫৩-৭৪৫৪) ও দুইটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হামলাকারীরা অফিসের নীচতলা ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষের এসি, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন ভাঙচুর করে এবং অফিসের কাগজপত্র ও বইপুস্তক নষ্ট করে বিভিন্ন কক্ষে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে গেলে শান্তি রোডে আটকে দেওয়া হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান গণমাধ্যমকে মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, আ’ লীগ সারাদেশের মতো ফেনীতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল; এরমধ্যে জামায়াতের কার্যালয়ে আগুন দিয়ে বই-পুস্তক, গাড়ি ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও রয়েছে।