যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার দুটি পৌরসভা এবং ২১টি ইউনিয়নে ২৩টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে। মাসব্যাপী এই চিকিৎসা কার্যক্রম থেকে প্রায় ৫০ হাজার রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ, চশমা ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সহায়তা গ্রহণ করেছেন।
যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার দুটি পৌরসভা এবং ২১টি ইউনিয়নে ২৩টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে। মাসব্যাপী এই চিকিৎসা কার্যক্রম থেকে প্রায় ৫০ হাজার রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ, চশমা ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সহায়তা গ্রহণ করেছেন।
যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার দুটি পৌরসভা এবং ২১টি ইউনিয়নে ২৩টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে। মাসব্যাপী এই চিকিৎসা কার্যক্রম থেকে প্রায় ৫০ হাজার রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ, চশমা ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সহায়তা গ্রহণ করেছেন।যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার দুটি পৌরসভা এবং ২১টি ইউনিয়নে ২৩টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে। মাসব্যাপী এই চিকিৎসা কার্যক্রম থেকে প্রায় ৫০ হাজার রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ, চশমা ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সহায়তা গ্রহণ করেছেন।
শহীদ জাবির-আল আমিন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এবং যশোর পুলেরহাট আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। মানবিক এই উদ্যোগে আরও সহযোগিতা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও আকিজ বেকার্স লিমিটেড।
জামায়াতের মানবসেবামূলক অঙ্গীকার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরেই জনগণের কল্যাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। মানুষের দুয়ারে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার এই উদ্যোগও জামায়াতের মানবকল্যাণমূলক কর্মযজ্ঞেরই ধারাবাহিকতা। চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সামাজিক খাতে তাদের ইতিবাচক ভূমিকার কথা স্থানীয় মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছেন।
৭ আগস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার ঝিকরগাছা পৌরসভার বিএম হাই স্কুল মাঠে প্রথম ক্যাম্পটির উদ্বোধন করেন শহীদ জাবির-আল আমিন স্মৃতি সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রখ্যাত শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদ। সমাপনী অনুষ্ঠান হয় ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার চৌগাছার স্বরুপদাহ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন।
এই ক্যাম্পগুলো থেকে রোগীরা চক্ষু, মেডিসিন, গাইনী, শিশু ও দন্ত বিভাগের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। শুধু ব্যবস্থাপত্র নয়, রোগীদের প্রয়োজনীয় ডায়াগনোস্টিক টেস্ট, বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা, চশমা প্রদান এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়।
প্রায় এক হাজার রোগীর বিনামূল্যে ছানী অপারেশন করা হয়েছে আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
চোখ পরীক্ষার পর আড়াই হাজার রোগী বিনামূল্যে চশমা পেয়েছেন।
প্রতিটি ক্যাম্পে তিনশ কপি করে মোট প্রায় ৭ হাজার সহজ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
ডাক্তার ও স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা
ক্যাম্পগুলোতে আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ফার্মাসিস্টরা দায়িত্ব পালন করেন। চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো: ইমদাদুল হক। চক্ষু সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করেন আদ্-দ্বীন চক্ষু প্রকল্পের জিএম মো: রবিউল হক এবং রেল রোডস্থ আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ম্যানেজার মো: মুজাহিদুল ইসলাম।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নারী স্বেচ্ছাসেবকেরা মহিলাদের সার্ভিস নিতে সহায়তা করেন। প্রতিটি ক্যাম্পে সকাল থেকে রোগীদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
ক্যাম্পে আসা রোগীরা জানান, বিনামূল্যে এমন মানসম্মত চিকিৎসা সেবা তারা আগে পাননি। বিশেষ করে প্রান্তিক ও নিম্নআয়ের মানুষ এই ক্যাম্পগুলো থেকে উপকৃত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। অনেকেই চোখের চিকিৎসা ও ফ্রি চশমা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পুরো ক্যাম্প কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করেছেন শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদ। শুধু তদারকিই নয়, তিনি নিজে রোগী দেখেছেন এবং চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও মানবসেবামূলক নেতৃত্ব গোটা আয়োজনকে সফল করেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে। জনগণের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসেবার উদ্যোগের মাধ্যমেই একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন করা সম্ভব।###