DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

চট্টগ্রামে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট

চট্টগ্রামে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বোতলজাত তেলের এ সংকট। এ সংকট তীব্র আকার ধারণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
Printed Edition
Soyabin

চট্টগ্রামে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বোতলজাত তেলের এ সংকট। এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল গেল নবেম্বরে। এরপর গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়। শুল্ককর কমানোর পরও সংকট কাটেনি। বাজারে সংকট থাকলেও বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

সরকাররি এ সংস্থার হিসাবে জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ১৭ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। এছাড়া অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৯, পাম অয়েল ৪ লাখ ৮ হাজার ৪৭২ টন। আগের বছরের একই বছরের তুলনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি বেড়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ টন।

দোকানিরা বলছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। পাইকারী বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট প্রতিদিন বাড়ছে। চাহিদা মতো বোতলজাত সয়াবিন তেল দোকানে তুলতে পারছে না খুচরা ব্যবসায়ীরা। কোম্পানিগুলো তেল দিচ্ছে না। দিলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করছেন তারা। কোম্পানি তেল দেওয়ার কথা বললেও তেল সরবরাহ করছে না। কিছু ব্যবসায়ী সয়াবিন মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। রোজায় এ সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কার করছেন তারা। তারা অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করতে কৃত্রিম এ সংকট সৃষ্টি করেছে।

ক্রেতারা বলছেন, প্রায় দোকানে সয়াবিন তেলের বোতল নেই। থাকলেও দাম বাড়তি চাইছেন বিক্রেতারা। ১৭৫ টাকার সয়াবিন ২০০ টাকা দাম নিচ্ছেন। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। ৫ লিটার বোতলজাত তেল ৮৫০ টাকা হওয়ার কথা হলে সেখানে ১ হাজার টাকা দাম চাইছেন দোকানিরা। এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন প্রায় নেই প্রায় খুচরা দোকানে।

সরকারি সংস্থাগুলো বলছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট নেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার আসন্ন রমযানের বাজার নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভায় একই কথা জানানো হয়। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, গোয়েন্দা দপ্তর থেকেও বলা হয়, বোতলজাত সয়াবিনের সংকট থাকার কথা নয়। যথেষ্ট পরিমাণে সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে।

বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুতের প্রমাণ পেয়েছে সরকারি সংস্থাগুলো। সয়াবিন তেলের সংকটের খবরে বাজারগুলো ঘুরে দেখেছেন তারা। অভিযানে গিয়ে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের পর্যাপ্ত মজুত দেখেছেন তারা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানান, বাজারের এ সংকট অনেকটা কৃত্রিম। তারা বাজারে বিভিন্ন সময় গিয়ে অধিকাংশ দোকানেই সয়াবিন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, সংকট অনেকটা কৃত্রিম। আমরা বাজারে গিয়ে সয়াবিনের মজুত পেয়েছি বেশ কয়েকটি দোকানে। জরিমানা করা হয়েছে, কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যাতে সয়াবিনের বাজার অস্থিতিশীল না হয়।