খুলনার আলোচিত দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনের অন্যতম আসামী কাজী রায়হান (২৬) ও আসিফ মোল্লা (২৫)’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতক্ষীরার তালা উপশহর ও খুলনার পাইকগাছা থানাধীন কপিলমুনি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথক দুই স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রায়হান দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে ও অপর আসামী মহেশ্বরপাশা ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওবায়দুর রহমানের ছেলে এবং চরমপন্থী নেতা হুমায়ুন কবির হুমার অনুসারী। গ্রেফতারকৃত আসামী রায়হান ও আসিফের বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় আরিফ হত্যা মামলা ও বাগেরহাটের রামপাল থানায় একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে ও আসামী বিষয়টি নিশ্চিত করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া পর আসামী রায়হান ও আসিফ পালাতক ছিল। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের ঘটনায় সাথে আসামীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানা যায়। অতঃপর গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তালা মহিলা কলেজের পার্শ^বর্তী একটি ভাড়া বাসা হতে আসামী রায়হানকে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও পাইকগাছা থানাধীন কপিলমুনি এলাকা হতে আসামী আসিফকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা যুবদল নেতা মাহবুব হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতার হওয়া আসামী রায়হান চরমপন্থী নেতা হুমায়ুন কবির হুমার অনুসারী। গ্রেফতারের পর আসামীদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খুনের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য আসামী, খুনের কারণসহ নানা চাঞ্চল্যকর বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের ঘটনায় সাথে আসামীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানা যায়। গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তালা উপশহর ও পাইকগাছা থানাধীন কপিলমনি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামীদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আড়ংঘাটায় থানায় একটি হত্যা ও বাগেরহাটের রামপাল থানায় একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। খুনের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য আসামী, খুনের কারণসহ নানা চাঞ্চল্যকর বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে দৌলতপুর থানা মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ীর সামনে প্রাইভেটকার পরিষ্কার করার সময় দুর্বৃত্তরা গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু নিশ্চিত করে। সেখানে তার ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ওই রাতে জানাযা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে নিহতের পিতা আব্দুল করিম মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত পুলিশ চারজন আসামী গ্রেফতার করেছে।