চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নিখোঁজ দেড় বছরের শিশু তাহিয়ার লাশ মিলল বাড়ি থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে হালদা নদীতে। তার বাবা সন্দেহ করছেন তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
নিখোঁজের পর তাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে স্বজনসহ শত এলাকাবাসী। ডুবুরি এসেও তল্লাশী চালায়। কিন্তু কোথাও মেলেনি তার হদিস।
অবশেষে নদীর শেষপ্রান্তে চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট সেতুর কাছে ভাসমান তার লাশ পাওয়া যায়। চারদিন পর রোববার বিকেলে পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। আজ সোমবার বিকেলে মর্গ থেকে লাশ রিলিজ দেয়ার কথা রয়েছে।
তবে, বাবার সন্দেহ পূর্ব-পরিকল্পিতভাবেই তাহিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ নিখোঁজের সময় পরনে কোন কাপড় ছিলনা তাহিয়া’র। শুধুমাত্র প্যান্ট ছিল। লাশ উদ্ধারের পর তার গায়ে জামা-কাপড় দেখা যায়। এতে সন্দেহের দানা বাঁধে বাবার। পুরো বিয়ষটি সাংবাদিকদের কাছে পরে খোলাসা করবেন বলে তিনি আশ্বস্থ করেন।’
তাহিয়া উপজেলার পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা মো. মানিক ড্রাইভারের কন্যা। তার ছয় বছরের আরেকটি ভাই আছে। তাহিয়ার বাবা এলাকার একজন আদর্শ সিএনজি অটোরিক্সা চালক।