১৯৯১ সালের প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলাসহ দেশের বিস্তৃীর্ণ এলাকায় হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ আহত এবং পশুপাখি, গাছ-পালা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। দীর্ঘ ৩৪ বছর পরও এখনো উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত। বর্ষাকাল আসলেই জনগণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহানগরী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং মানুষকে রক্ষার জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নাই। আগামী বর্ষার পূর্বেই উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পতেঙ্গা থানা শাখার উদ্যোগে ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে এক দোয়া মাহফিল স্থানীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। পতেঙ্গা থানা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, পতেঙ্গা থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. মাওলানা আব্দুল মোতালেব, পতেঙ্গা থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বেলাল হাছন, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইউসূফ, মোহাম্মদ নুরুল আলম প্রমুখ। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন। দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ ১৯৯১ সালে ২৯ শে এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ে নিহত আত্নীয়স্বজন, পতেঙ্গা, ইপিজেড, হালিশহর ও বাকলিয়াসহ মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নিহতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।