জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা শাখা।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে যশোর ঈদগাহ মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে এই পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল।

সমাবেশে অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি দাবি করেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন বাধ্যতামূলক।

সমাবেশে জেলা জামায়াত পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন: জুলাই সনদের বৈধতা ও জনমত যাচাইয়ের স্বার্থে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে পৃথকভাবে গণভোট আয়োজনের দাবি জানানো হয়। জুলাই সনদের পূর্ণ আইনি স্বীকৃতি প্রদান: নথিটি যাতে রাজনৈতিক সমঝোতার বাইরে গিয়ে সাংবিধানিক মর্যাদা পায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় আইন পাসের দাবি জানানো হয়।

সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। জামায়াতের অভিযোগ, জুলাই সনদকে দুর্বল করার নানা প্রচেষ্টা চলছে। তারা সমস্ত তামাশা ও প্রভাব বিস্তার বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা । জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের ওপর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধাহীনতা ।বিক্ষোভ, সমাবেশ, সভা ও রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা এবং প্রতিহত না করার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য ,জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দীকী বলেন, জনগণের মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্তই দেশের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। তাই গণভোট ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, মাও: রেজাউল করিম, প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস অফিস সেক্রেটারী নূর-ই-আলা নূর মামুন বক্তব্যে দাবি করেন যে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যশোর-৫ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. গাজী এনামুল হক বলেন, গণভোটে জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জনগণের কাছে যাওয়ার অধিকার কোনো দল বা সরকারের হাতে বন্দী থাকতে পারে না। শহর আমীর অধ্যাপক শামসুজ্জামান, মনিরামপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফজলুল হক, চৌগাছা উপজেলা আমীর মাওঃ গোলাম মোরশেদ এবং যশোর-৩ আসনের জাময়াথ মনোনিত প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদেরও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল যশোর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আয়োজকরা জানান, জনগণের মতামত প্রতিফলিত করতে পাঁচ দফা দাবির পক্ষে তারা ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।