বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আপনারা যারা আজকে খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়ালেন তাদের দেখে আমাদের খুব লজ্জা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী এমন বাংলাদেশ চায় না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে তিনি ‘জুলাই বিপ্লব’-এর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই বিপ্লব পরাধীন বাংলাদেশকে স্বাধীন বাংলাদেশের পথে নিয়ে গেছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে পাচঁলাইশ থানা এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া ফয়সাল আহমদ শান্ত, ওয়াসিম আকরাম ও ফারুক আহমেদের সম্মানে ইছালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে দরিদ্র, অসহায়, দুঃস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. আবু নাছের।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে মুরাদপুর চত্বরে ফয়সাল আহমদ শান্ত, ওয়াসিম আকরাম ও ফারুক আহমেদকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই শহিদদের স্মরণে মুরাদপুর চত্বরকে শহিদ চত্বর ঘোষণা করতে হবে। সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে গেজেট প্রকাশ করে শহিদ চত্বর ঘোষণা করুন।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা হতাহত হয়েছেন। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শুলকবহর ওয়ার্ড আমির তৌহিদ আজাদ, সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।