যশোর সংবাদদাতা : জামায়াতকে হেয় প্রতিপন্ন করতে যশোরের রূপদিয়ায় অন্যের জমিতে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা ১৪টি খুপরি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা শাখা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ।
জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, গত ১৩ এপ্রিল যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া মধ্যপাড়ায় ১৪টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বেশকয়েকটি গণমাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে জামায়াত নেতা ও কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত খবির খান প্রকৃতপক্ষে জামায়াতের কোনো দায়িত্বশীল বা নেতা নন।
ভাংচুরের যে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে তা তাদের পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা বা কর্মীর এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিকভাবে জামায়াতকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সুযোগ সন্ধানী একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দীকী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আমীর হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলামসহ স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করেই কেবল দায়িত্ব শেষ করেননি । নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং সান্ত¡না দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ১৪টি পরিবারে ১৫ জনকে ৪ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এমনকি আমরা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সরজমিনে তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার জোর দাবি জানিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, প্রচার সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক নূর- ই আলা নুর মামুন, যশোর শহর শাখা সেক্রেটারি ইমরান হুসাইন, জেলার সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।