DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

সুন্দরবনে হরিণ শিকারী চক্রের দৌরাত্ম্য

সুন্দরবনে হরিণ শিকারী চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে শিকারী আর পাচারকারীরা ফাঁদ পেতে ও গুলীতে শিকার হচ্ছে হরিণ। সুন্দরবনে থামছেই না হরিণ নিধন। কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই হরিণ শিকার হচ্ছে।

Printed Edition
554

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা : সুন্দরবনে হরিণ শিকারী চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে শিকারী আর পাচারকারীরা ফাঁদ পেতে ও গুলীতে শিকার হচ্ছে হরিণ। সুন্দরবনে থামছেই না হরিণ নিধন। কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই হরিণ শিকার হচ্ছে। প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে হরিণের গোশত। গোশত ও চামড়াসহ ধরাও পড়ছেন প্রতিদিন শিকারিরা। সুন্দরবনের নদী ও খালগুলোয় বিষ দিয়ে মাছ শিকারেও মহোৎসব চলছে। অবাধে হরিণ শিকারের কারণে জীববৈচিত্র্যে প্রভাব পড়ছে। শিকারী চক্র দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত দুই মাসে বনবিভাগ, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড অভিযান চালিয়ে ২৭৪ কেজি হরিণের গোশত জব্দ করেছে এবং ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবী হরিণ। বন্য এ প্রাণীটি চোরা শিকারী ও পাচারকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রপ্তিক সময়ে সুন্দরবনে বনদস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলে-বাওয়ালীরা যেমন আতঙ্কে রয়েছে অপর দিকে বেড়েছে হরিণ শিকারী চক্রের দৌরাত্ম। হরিণ শিকারীচক্র ও বনদস্যুদের কাছ থেকে অন্যান্য বন্য প্রাণীও নিরাপদ নয়। সূত্রে জানা গেছে, ৩ জানুয়ারি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৪ কেজি হরিণের গোশতসহ পাইকগাছা উপজেলার কাশিম নগর গ্রামের আমিন উদ্দিন মোড়লের ছেলে ইকবাল মোড়লকে মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। ১৫ জানুয়ারি খুলনা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের বনরক্ষীরা সুন্দরবনের সত্যপিরের ভারানী খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮০ কেজি হরিণের গোশত উদ্ধার করে। এ সময় একটি নৌকা ও হরিণ ধরার সরঞ্জাম জব্দ করা হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।