খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় বদ্ধ জলাশয়গুলোতে ভরে গেছে কচুরিপানায়। এতে পানি নিষ্কাশনে যেমন বাঁধা হচ্ছে তেমনি ফসল ও কৃষি কাজেও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। মাঠ থেকে কৃষকদের সবজি আনায়নে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এসব কারণে বদ্ধ সকল খালের কচুরিপানা অপসারণ করতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। নতুন উদ্ভাবিত একটি মেশিন দিয়ে কচুরিপানা অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে শলুয়া গেটের খালে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন।

জানা যায়, ডুমুরিয়ায় উপজেলায় কৃষকদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কচুরিপানা। অধিকাংশ বদ্ধ জলাশয়গুলোতে বছরের পর বছর ভরে থাকে কচুরিপানায়। বিশেষ করে বোরো মওসুমে কচুরিপানার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়ে কৃষকরা। সেচ খাল ও নালাগুলো আটকে থাকায় পাম্প দিয়ে সময়মতো জমিতে পানি সরবরাহ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। কচুরিপানা নৌকা অন্যান্য জলযান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে। ফলে কৃষকের উৎপাদিত ফসল হাটে-বাজারে নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। তাছাড়া কচুরিপানা রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন পোকামাকড় ও মশা-মাছির প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্যও ব্যাপক ক্ষতিকর।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, কচুরিপানা ডুমুরিয়ায় একটা বড় সমস্যা। অধিকাংশ বদ্ধ খালগুলো আটকে আছে কচুরিপানায়। এতে পানি নিষ্কাশনে যেমন বাঁধা হচ্ছে তেমনি ফসল আনায়নের ক্ষেত্রে কৃষকেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যশোরের মনিরামপুরের প্রদীপ বিশ্বাসের নতুন উদ্ভাবিত কচুরিপানা কাটা একটি মেশিন ৬লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে। এ মেশিনটা যাতে ভালো থাকে তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ডুমুরিয়াবাসীর। মেশিনটি যে ইউনিয়নে নেয়া হবে সেই ইউনিয়ন পরিষদ মেশিনের তেলসহ অন্যান্য খরচ বহন করবে।

রংপুরের শলুয়া থেকে মেশিন চালু করা হয়েছে। এখান থেকে ডাকাতিয়ার বিল অভিমুখে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত খালের কচুরিপানা কাটার কার্যক্রম চলবে। উদ্বোধনের সময় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, বিএনপি নেতা শেখ সরোয়ার হোসেন, সরদার আব্দুল মালেক, ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শেখ ফরহাদ হোসেন, অধ্যাপক জি এম আমান উল্লাহ, অবপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মো. কামরুল ইসলাম আকুঞ্জি, রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ মন্ডল, রঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনোজিত বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।