বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ইসলামই একমাত্র বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার গ্যারান্টি দিতে পারে। কারণ শোষন মুক্ত ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রূপরেখা ইসলামই দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এদেশের সকল মানুষের মাঝে ভাতৃত্ব-সৌহার্দ্যপুর্ণ সম্পর্ক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে রাসুল (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত মদিনার আদলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধ পরিকর। যেখানে সকল ধর্মের মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, দৌলতপুর থানা ইসলামী আন্দোলনের উর্বর মাটি। এ উর্বরতা আল্লাহর নেয়ামত। বর্তমান অনুকূল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক দাওয়াতী তৎপরতা এবং মানব সেবার মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। অন্যথায় মহান আল্লাহ তায়ালা শাস্তি স্বরূপ এ নেয়ামত কেড়ে নিতে পারে। তাই সীসাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মহানগরী দৌলতপুর থানার ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় কার্যালয়ে ওয়ার্ড ও ইউনিট প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

ওয়ার্ড আমীর আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি খোরশেদ আনোয়ার রিয়াজ এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও যুব বিভাগীয় সেক্রেটারি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর থানা আমীর মু. মুশাররফ আনসারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামান লাল্টু, দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্যে জামায়াত নেতা সাহিদুর রহমান, মাওলানা জহির উদ্দিন, মতিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম, হাকিম উদ্দিন, শাফায়াত আজিম, ফারুক হোসেন, হেলাল উদ্দিন, সাহল রহমান আদর, বি এম হাসিবুল্লাহ, কাজী জবেদ আলী, কাজী আব্দুর রহমান, মাওলানা আনোয়ার, মোহাম্মদ আলী, দবির উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।