সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটি জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গুরুত্ব বিবেচনা করে সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠায়। প্রধান উপদেষ্টা সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্ভব্যতা যাচাইসহ তাদের পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ করবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সিটি করপোরেশন তাদের পর্যায়ের কাজ শেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে। এরপর তা নিকার (প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) সভায় অনুমোদনের জন্য উঠবে।

বিভাগীয় কমিশনারের পাক্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার কাছে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, সাভার অপরিকল্পিত শিল্পকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিপুল জনসংখ্যার চাপে এক বিশাল নগর এলাকায় পরিণত হয়েছে, কিন্তু বিদ্যমান পৌরসভা এই নাগরিক চাহিদা পূরণে অপ্রতুল।

অন্যদিকে, আশুলিয়া অঞ্চলে গার্মেন্টস শিল্প, শ্রমিক বসতি এবং আবাসিক এলাকা গড়ে উঠলেও ইউনিয়ন পরিষদের সীমিত সক্ষমতার কারণে পরিকল্পিত নগরায়ণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।

এছাড়াও, কেরানীগঞ্জ উপজেলা ঢাকা শহরের প্রসারের মুখে অপরিকল্পিত দ্রুত নগরায়ণের মুখোমুখি হচ্ছে। পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠান না থাকায় সড়ক, ড্রেনেজ, পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক নাগরিক সেবা সেখানে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।