মোঃ সাইফুল্লাহ, শ্রীপুর (মাগুরা) সংবাদদাতা : মাগুরা শ্রীপুরের কাদিরপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ঝুঁকি নিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা!
শ্রীপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাদিরপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সিএমএমইউ কর্তৃক পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে অদ্যবধি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় ইউনিয়নবাসী গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘ সময় বন্ধ ক্লিনিকটি পরিত্যক্ত ঘোষণা থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রটি কবে নাগাদ নির্মাণ করা হবে জানেনা ইউনিয়বাসীর কেউই।
উপজেলার রাধানগর বাজার সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে ছাদ খসে পড়ে ইট, খোঁয়া রড় বেরিয়ে গেছে। ছাদের উপর বিভিন্ন প্রকারের গাছ জন্মেছে (আগাছা)। দরজা, জানালা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বাথরুম ছিল বলে মনে হয়নি। যেখানে বাথরুম ছিল আবর্জনার স্তূপে ডুবে গেছে। পরিত্যক্ত ঘোষণা করার আগে স্বাস্থ্য কেন্দ্রিটিতে ১ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো), ১ জন ফার্মাসিষ্ট, ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকা, ১ জন পিয়ন ও ১ জন আয়া প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা, নরমাল ডেলিভারি, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা, টিকাদান, পরিবার পরিকল্পনা পরামর্শ ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সেবা প্রদান করা হতো। কাদিরপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রের ৫টি পদের সকলেই অবসরে গেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনের রুমে বর্তমানে সব্দালপুর ইউনিয়নের ১ জন উপসহকরী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) অনন্ত কুমার বিশ্বাস ও ১জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ খায়রুল আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রোগীদের সাধারণ জ্বর, ঠান্ডা কাশির চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রটিতে দীর্ঘদিন যাবত কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই। এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে এবং জনবল সংকটের কথাও বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী ব্যানার্জী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসাসহ দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।