বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচন এবং কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন জাতীয় জীবনে এখন মুখ্য দাবি। অনতিবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এই সনদ বাস্তবায়নে গড়িমসি না করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে খুলনা-৩ আসনের দৌলতপুর থানাধীন ৫ নং ওয়ার্ড এর তিন দোকানের মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে, এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
৫ ওয়ার্ড আমীর জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইবাদত হোসেন এর পরিচালনায় বক্তব্য দেন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে জামায়াত নেতা রেজাউল কবির, আশরাফ হোসেন, হাসানুজ্জামান, নিজামুদ্দিন, আরিফ হোসেন, হুমায়ুন কবির, আলী আকবার, মীর হুমায়ুন কবির, সোহরাব হোসেন, সান্টু, আরিফুল ইসলাম, জাকির হোসেন, রুম্মান, জয়নাল আবেদীন, দেলোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ, মারুফ, রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এই প্রার্থী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের কাজে সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করা সত্ত্বেও কোনো ধরনের আইনি ভিত্তি ছাড়াই জুলাই সনদ তৈরি হয়েছে, সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি-দাওয়া ক্রমাগত উপেক্ষা করে যাওয়া হয়েছে, গণহত্যাকারী ও তাদের দোসরদের ক্রমোন্নত উদ্ধত আচরণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামীসহ বহুসংখ্যক রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করে। আমাদের ধারাবাহিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের বোধোদয় না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।