বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের খুলনার শিরোমনি এলাকার কেন্দ্রীয় পণ্য কারাগারে কোটি টাকার নিলাম টেন্ডারে বিভিন্ন মহলের যোগসাজসে টেন্ডারবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের অনেকেরও এই নিলাম টেন্ডারবাজিতে সম্মতি আছে। টেন্ডার সিন্ডিকেট সর্বসম্মতিক্রমে স্বৈরাচারী আমলে সুবিধা নেওয়া ব্যবসায়ী সুভাষ দত্ত এন্টারপ্রাইজকে কাজটি পাইয়ে দিয়েছে।
অফিসের একটি সূত্র জানায়, ৫৫টি পুরনো আইটেমের নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর ভিতর শিপিং কন্টেইনার ছিল ১০টি, খালি ছিল ১৩৩ টি, ডি-১২ তার ছিল ১২ কিলোমিটার, ডি-১৪ তার ছিল ১২৫ কিলোমিটার, আইরোন ড্রাম ছিল ৩৪০ টি, মিটার ৩২ টি প্রমুখ। গত ২২ শে জুন সিডিউল কেনার সর্বশেষ সময় ছিল। টেন্ডার ড্রপিং এর সময় ছিল ২৩ শে জুন বেলা বারোটা। ৫০০ টাকার সিডিউল মূল্য প্রায় ৪১০ জন ব্যবসায়ী দরপত্র ক্রয় করেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে মাত্র ১৪ জন দরপত্র জমা দেন।
ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় সূত্র জানায়, টেন্ডার জমা দানের দুই একদিন আগে সিন্ডিকেট কমিটির মাধ্যমে ব্যবসা বেশি করে। এ সময় সবার সম্মতিক্রমে সুভাষ দত্তকে কাজটি পাইয়ে দেয়ার জন্য আশ্বাস দেয়া হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের ও সিন্ডিকেট কমিটির টাকা, পুলিশ ও সাংবাদিক, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস, সিডিউল হোল্ডারসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়।
ব্যবসায়ী সুভাষ দত্ত বলেন, কাজটি আমি পেয়েছি। প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা সাথে ভ্যাট ও ট্যাক্স ইতোমধ্যে অফিসে জমা দিয়েছি। সিন্ডিকেটের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শিরোমনি বাজারে আছি আসেন সাক্ষাতে কথা বলব।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ মোল্লা জানান, আমার নাম আসলেও আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে এর আগেও অনেক সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়েছিল। বিষয়টির ব্যাপারে জানতে হলে মহানগর বিএনপি’র দপ্তরের সেলে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ( চ.দা.) মো. আবু সাঈদ জানান, ৪১০টি সিডিউল এর ভেতর ১৪টি সিডিউল জমা পড়ে। অফিসের ভিতরে কোন বিপত্তি হয়নি। অফিসের বাইরে কিছু হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।