হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহ ও প্রচন্ড গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে সুস্বাদু তালের শাঁসের কদর যেমন বেড়েছে কয়েক গুন, তেমনি বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। এতে খুশি তালের শাঁস বিক্রেতা ও ক্রেতারা। যদিও সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় গরমে আরাম পেতে মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকে ওই তালের শাঁস। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে পৌর এলাকার শাঁস বিক্রেতা রফিক মিয়া জানান,তালের নরম কচি শাঁস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিশু-বৃদ্ধ সবাই এ তালের শাঁস খেতে পছন্দ করেন। তাই বর্তমানে তালের শাঁসের চাহিদা দ্বিগুন বেড়ে গেছে। হোসেনপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা এখন দেদারসে বিক্রি করছেন ওই তালের শাঁস। আবার কোনো কোনো বিক্রেতা ভ্যানযোগে পাড়া ও মহল্লায় ঘুরে ঘুরে তালের শাঁস বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন।এ সময় উপজেলার নতুন বাজার মোড়ে জিনারী গ্রামের তালের শাঁস বিক্রেতা রেজা মিয়া জানান, প্রতি বছর প্রচন্ড গরমের সময়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে কচি তাল কেনেন তিনি।পরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে সেগুলো বিক্রি করেন। আর এসব তালের শাঁস বিক্রির আয় দিয়েই তিনি সংসার চালান। তিনি আরো জানান, মূলতঃ বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত চলবে তালের শাঁস বিক্রি। তবে এবারে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ও প্রাকৃতিক নানা কারণে ফলনও কম হওয়ায় দাম অনেক বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
গ্রাম-গঞ্জ-শহর
তাপদাহে তালের শাঁসেই স্বস্তি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহ ও প্রচন্ড গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে সুস্বাদু তালের শাঁসের কদর যেমন বেড়েছে কয়েক গুন, তেমনি বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।
