৭৬ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সম্প্রতি তাদেরকে পুশইন করা হয়।
এদিকে কুশখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ওই ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। বর্তমানে তারা কুশখালী এলাকায় বিজিবি হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের আওতাধীন কুশখালি বিওপির একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় বিএসএফ কৈজুরী ক্যাম্পের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলছেন।
বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে ৯ মে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা-সংলগ্ন পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৩ জনকে রেখে যায় বিএসএফ। তাদের উদ্ধারের পর যাচাই-বাছাই শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মেহেরপুর
মেহেরপুর জেলা : মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশু সহ ৩০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা আসা এসব নারী, পুরুষ ও শিশুদের নেওয়া হয়েছে মুজিবনগর থানা পুলিশের হেফাজতে। গত মঙ্গলবার ভোরে সীমান্তের কাটাতারের গেট খুলে তাদেরকে জোরপূর্বক বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।
আটক হওয়াদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু রয়েছে। আটকৃতদের কয়েকজন জানান তাদের অধিকাংশের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। অবৈধভাবে তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে যায়। কিছুদিন আগে ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে আটক করে বিএসএফ এর কাছে হস্তান্তর করে। পরে ঐদিন ভোরে বিএসএফ তাদেরকে নিয়ে আসে মুজিবনগরে সোনাপুর সীমান্তে। সেখানে আনন্দবাস সিমান্তের ১০১নং পিলারের কাছে ২০ নং গেট দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ । বিজিবি তাদের আটক করে মুজির নগর থানয় হস্তান্তর করে। মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ৩০ জনই বাংলাদেশী বলে দাবি করেছেন। তবে তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বাংলাদেশী কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তাদের দেওয়া পরিচয় যাচাই করার পর তাদের বিষয়ে আইনানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিন সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন নারী পুরুষকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। যার মধ্যে সোনাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জন (৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী), বহলগুড়ি সীমান্ত দিয়ে ৮ জন (৬ জন পুরুষ, ২ জন নারী) এবং কচাকাটার কেদার সীমান্ত দিয়ে ৭ জন (২ জন পুরুষ, ২ জন নারী)। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে দিকে ভূরুঙ্গামারীর তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব নাগরীককে পুশ ইন করে বিএসএফ।
পরে তাদের আটক করে তিন বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। আটককৃতদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি বিজিবি। তাই ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ঠেলেদেয়া ২৩ জন কোন দেশের নাগরিক তা এখনো নিশ্চিৎ হওয়া যায়নি।
এসব নাগরিক বিজিবি কেদার, সোনাহাট ও বহলগুড়ি ক্যাম্পের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে বিজিবি সূত্রে জানাগেছে। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম-২২বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক বলেন, ২৩ নাগরিককে পুশইন করার ঘটনা ঘটেছে। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো নিশ্চিৎ হওয়া যায়নি।