গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে য্ওায়া শেখ হাসিনার ৪ চাচাতো ভাই খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেলসহ ৭৩ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে খুলনায় মামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র ও অর্ন্তঘাত মূলক নাশকতার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন, মহাসড়ক অবরোধ, জনমনে আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি প্রদানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আ্ইনে মামলা করেছে খুলনা সদর থানা পুলিশ। সদর থানার এসআই আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, মো. শিহাব উদ্দিন জোয়াদ্দার, ফারুক হোসেন তুরান, অহিদুল ইসলাম পলাশ, হুমায়ুন কবির খান, ফারুক হোসেন শেখ, জামিরুল হুদা জহর, জেড এ মাহমুদ ডন, ফয়েজুল ইসলাম টিটু, গোপাল চন্দ্র সাহা, সামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, ইমরানুল হক বাবু, নাসির, রাজুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫৫ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দু’ আসামি হলেন, নিরালা ছবেদা তলা মোড়ের বাসিন্দা মো. আব্দুল রহিম গাজীর ছেলে ইব্রাহীম গাজী এবং টুটপাড়া আমান মহল্লার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের ছেলে জিনার হোসেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫৫ জনের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাত মূলক নাশকতার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন, মহাসড়ক অবরোধ, জনমনে আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) দায়েরকৃত মামলায় বাদী এসআই আমজাদ হোসেন উল্লেখ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের উল্লেখিত ১৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪৫/৫৫ জন নেতাকর্মী রোববার ভোর রাত আনুমানিক সাড়ে ৪টার সদর থানাধীন খানজাহান আলী রোডের কলেজিয়েট গালর্স স্কুলের সামনে সংগঠিত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত, খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিসাধন ও অন্যান্য জেলার সাথে খুলনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছালে দূর থেকে আসামীরা পুলিশের পিকআপ দেখতে পেয়ে মারমুখি ভূমিকায় অবস্থানরত যানবাহণ ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আসামীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় দিনার হোসেন রনি ও ইব্রাহিম গাজীকে আটক করে।
অপরদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র ও অর্ন্তঘাাত মূলক নাশকতার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন, মহাসড়ক অবরোধ, জনমনে আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি প্রদানের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের সোনাডাঙা থানার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশাস, সাবেক কাউন্সিলর এস এম রাজুল হাসান রাজু, আলী আকবর টিপুসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে সোনাডাঙা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোনাডাঙা মডেল থানার এসআই জিয়াউদ্দিন শিকদার বাদি হয়ে এ মামলা করেন। রোববার (২০ জুলাই) দায়েরকৃত মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের উল্লেখিত ১২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী রোরবার ভোর রাত আনুমানিক সাড়ে ৪টার সোনাডাঙা থানাধীন পুজাখোলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত, খুলনা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিসাধন ও অন্যান্য জেলার সাথে খুলনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছালে দূর থেকে আসামীরা পুলিশের পিকআপ দেখতে পেয়ে বয়রা পূজাখোলার সামনে মারমুখি ভূমিকায় অবস্থানরত যানবাহণ ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আসামীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় মিরাজ নামক একজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় ১টি লাল কালো পুরাতন হোন্ডা কোম্পানীর মোটর সাইকেল, মোটর সাইকেলের ৮টি পুরাতন টায়ার, প্লাস্টিকের বোতলে ১ লিটার পেট্রোল উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সাবেক কাউন্সিলর এস এম রাজুল হাসান রাজু, আলী আকবর টিপুর নির্দেশে তারা ময়লাপোতা খলিল চেম্বারের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পরবর্তীতে বয়রা পূজাখোলার সামনে টায়ার পুড়িয়ে আগুন জ্বালানোর উদ্দেশ্যে অবস্থান করে।