গত মে মাসে খুলনায় ৩২৪টি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলায় রাহাজানি ০১টি, চুরি ২১টি, খুন ০৫টি, অস্ত্র আইনে ০৪টি, ধর্ষণ ০৮টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৩টি, মাদকদ্রব্য বিষয়ক ৩৭টি এবং অন্যান্য ৬০টিসহ মোট ১৪৯টি মামলা হয়েছে যা বিগত এপ্রিল মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ০৫টি কম। অপরদিকে মহানগরে ডাকাতি ০১টি, চুরি ১০টি, খুন ০৫টি, অস্ত্র আইনে ০১টি, দ্রুত বিচার ০২টি, ধর্ষণ ০৫টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১০টি, মাদকদ্রব্য বিষয়ক ৯২টি এবং অন্যান্য ৪৯টিসহ মোট ১৭৫টি মামলা হয়েছে যা বিগত এপ্রিল মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ২০টি বেশি। খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির জুন মাসের সভা বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ময়ূর নদের উপর গল্লামারি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করা, সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, আসন্ন ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, সুন্দরবন কেন্দ্রিক দ স্যুতা বন্ধকরা-সহ বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন জানান, খুলনার জিরোপয়েন্ট-ডুমুরিয়া সড়কের ভাঙাচোরা অংশগুলো দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ঈদের সময় এ সড়কে যান চলাচলের ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা নিতে হবে। প্রয়োজনে রেকার-সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখতে হবে। কোরবানির পশুর হাটগুলোর গরু ব্যবসায়ী অথবা ঈদের সময় বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমাতে পুলিশি প্রহরা গ্রহণের বিষয়টি সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। খুলনায় কোন ভাবেই যেন মবসংস্কৃতি স্থান না পায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে জাল টাকার বিস্তার বন্ধে মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি অভিযানে পাঁচ লাখ এবং একলাখ ৭৫ হাজার টাকার জালনোট আটক করা হয়েছে। কোরবানির গরুর হাটগুলোয় জাল টাকা শনাক্তের ব্যবস্থা থাকবে। নগরীতে ছিনতাই বন্ধে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং কয়েকটি ছিনতাইকারী চক্রকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম গাজী সভায় জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার পাশ্ববর্তী দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ২০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।