লাখ লাখ শ্রমজীবী ও পাথর ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অবিলম্বে পাথর কোয়ারি ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সেই সোথে তারা ট্রাক শ্রমিকদের গাড়ি তল্লাশির নামে হয়রানি ও পুলিশি নির্যাতন বন্ধ করা এবং ক্রাশার মিল মালিকদের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি ও বিদ্যুৎ মিটার পুনরায় ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছে। এসব দাবি অবিলম্বে কার্যকর করা না হলে, বৃহত্তর সিলেটবাসীকে নিয়ে আগামী ২২ জুন রোববার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পরবর্তিতে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন পাথর সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক শওকত আলী বাবুল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিলেট বিভাগের একমাত্র উপার্জনের ক্ষেত্র পাথর কোয়ারিসমূহে ইজারা বন্ধ থাকার ফলে এ অঞ্চলের কোটি মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। উপদেষ্টা পরিষদ পরিবেশের দোহাই দিয়ে বৈষম্যমূলকভাবে কেবলমাত্র সিলেটের ৫টি পাথর কোয়ারির ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেছেন যা অমানবিক। অন্তবর্তী সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা একটি চক্র ভারতীয় এজেন্টদের মদদে এসব করছে বলে অভিযোগ করেন সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতার।

তারা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের এই সিলেট বিদ্বেষী হটকারি সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যথিত করেছে। এ অঞ্চলের মানুষের ভরসারস্থল পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হক ও তার সাথে জাফলং ভ্রমণে আসা জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল করিম খান মতবিনিময় সভায় সিলেটে পাথর কোয়ারি লিজ না দেয়ার ঘোষণায় পাথর সংশ্লিষ্ট জীবিকা নির্বাহকারীরা হতাশ ও ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নেতৃবৃন্দ মানবিক বিবেচনায় এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের অন্যতম উপাদান পাথরের পর্যাপ্ত মজুদ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতেই বিদ্যমান। আধিপত্যবাদি ভারতের স্বার্থে কোয়ারি বন্ধ করে দিয়ে পাথরের চাহিদা মেটাতে বিগত সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সকল সীমান্ত দিয়ে আমদানি করা হয় ভারতীয় নি¤œমানের চুনাপাথর। রিজার্ভের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ভারতে পাচার করে তার বিনিময়ে নি¤œমানের পাথর এনে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এইসব অবকাটামোর ভবিষ্যৎ স্থায়িত্ব মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগ পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আব্দুল জলিল, যুগ্ম আহবায়ক মো: দিলু মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক ও ট্রাক মালিক গ্রুপের সহসভাপতি আতিকুর রহমান প্রমুখ।