সিলেট মহানগরীর কাজিরবাজারের একটি হোটেলে চা দিতে দেরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক হোটেল কর্মচারী নিহত হয়েছে। খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত আব্বাস মিয়ার ছেলেরা পলাতক রয়েছেন।

গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর কাজিরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে এসএমপি’র কোতয়ালী থানা পুলিশ।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, এই ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রধান আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্ল্যেখ, সিলেটের কাজিরবাজারের একটি হোটেলে চা দেয়াতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে হোটেল কর্মচারী রুমন খুন হন।

গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হোটেল কর্মচারী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সব্দলপুর গ্রামের মৃত: তখলিছ মিয়ার ছেলে মো. দিনার আহমদ রুমন। তার বয়স আনুমানিক ২২ বছর।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নগরীর কাজিরবাজার তোপখানা এলাকার বাসিন্দা আব্বাস মিয়া সকালে নাস্তা করতে কাজির বাজারে আসেন। তিনি প্রায়ই সকালে কাজিরবাজারে নাস্তা করতে আসেন।

গতকাল সকালে তিনি জব্বার মিয়ার হোটেলে এসে প্রথমে পরটা-ভাজি খান তারপর তিনি রুমনকে ডাক দিয়ে চায়ের অর্ডার দেন। এসময় চা দিতে দেরি হলে রুমনের সাথে আব্বাস মিয়ার বাকবিতন্ডা শুরু হয়।

এসময় দোকানে থাকা লোকজন ও দোকান মালিক মিলে আব্বাস মিয়াকে শান্ত করলেও দোকান কর্মচারী রুমনের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আব্বাস মিয়া তার ছেলেদের ফোনকল দিয়ে ঘটনাস্থলে ঢেকে আনেন। ছেলেরা এসে দোকানের কর্মচারী রুমনকে জিজ্ঞাসা করলে রুমন প্রতিউত্তরে তর্কাতর্কি করে।

এসময় আব্বাস মিয়ার ছেলেরা রুমনকে মারধর করতে থাকেন এবং ছোট ছেলে রোহান থাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।