চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আওতায় ইপিজেড মোড় থেকে চান্দার পাড়া ময়লার ডিপো পর্যন্ত রেলবিট রোড উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়নের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। "চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন" প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তাটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
মেয়র তাঁর বক্তব্যে বলেন, "এই এলাকায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে এবং আরও চলবে ইনশাআল্লাহ। এই রাস্তা এবং অন্যান্য অবকাঠামো আমাদের পবিত্র আমানত। এখানে কোনো দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। নালা, স্ল্যাবসহ কোনো কাজে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি স্থানীয় জনগণকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যেন নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার না হয় এবং কাজের গুণগত মান বজায় থাকে।
তিনি বলেন, "আমরা একটি কোয়ালিটি রোড নির্মাণে বদ্ধপরিকর, যা ছয় মাস পর ভেঙে যাবে না বা বর্ষায় নষ্ট হবে না। এজন্য নাগরিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।" জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নালা পরিষ্কারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, "মহেশখালসহ সকল খাল পরিষ্কার রাখতে হবে। কোথাও ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক, পলিথিন ফেলা যাবে না। প্রয়োজনে ছোট আকারের ডাস্টবিন সরবরাহ করা হবে।" মেয়র সতর্ক করে দিয়ে জানান, যারা নিয়ম ভাঙবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশনের ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছেন।
দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর পরিচালন ব্যবস্থার (সিটি গর্ভন্যান্স) উপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের করা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল্যায়নে চসিক প্রথম হয়েছে বলেও মেয়র জানান। তিনি বলেন, "আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্লিন ও হেলদি সিটি গড়ার উদ্যোগ নিয়েছি। শিশুদের জন্য খেলার মাঠ নির্মাণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পার্ক উন্মুক্তকরণ, দীঘি উন্মুক্তকরণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে ধারাবাহিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলেই চসিক আজ দেশসেরা হয়েছে।" মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "একটি সুন্দর, টেকসই এবং দুর্নীতিমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মো. কামাল উদ্দিন, মো. সেলিম, মো. আজমসহ চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।