কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা : কলারোয়া পৌর সদরের রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশায় যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টিতে যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। পৌর সদরের প্রাণ কেন্দ্র থানা মোড় কৃষি ব্যাংকের সামনে দিয়ে হাসপাতাল রোডের রাস্তা।যেটি চলে গেছে সোনাবাড়িয়া হয়ে মদরা ও চানদুড়িয়া সীমান্তে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই রাস্তাটি। যা দেখলে পাকা রাস্তা বলে মনে হয় না। এটা যেন পানি আর কাঁদায় ভরা গ্রামের মেটো রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলে কখন না জানি পরনের কাপড় কাদামক্ত হয়ে যায়।আর খানাখন্দের কারণে ছোট খাটো দূর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া কলারোয়া গরু হাট থেকে হেলাতলা-কুশোডাঙগা অভিমুখি রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে যেতে গেলে প্রায় হুছট খেতে হয়। মাঝে মধ্যে রাস্তার পিচ খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করা প্রায় বন্ধ। চালকরা এ রাস্তা বাদ দিয়ে বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছে অন্যটি। ইজিবাইক ভ্যান হেলাতলা ব্রীজের মুখ থেকে গ্রামের ভিতর দিয়ে সাতক্ষীরা -যশোর মহাসড়ক হয়ে কলারোয়া সদরে আসছে। কলারোয়া গরুহাট থেকে হেলাতলা ব্রীজের উপর দিয়ে শাকদাহ বাজার কাজীরহাট -খোরদো সড়কে গিয়ে মিশেছে। আর এই রাস্তা দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত কলারোয়া সদরে বিভিন্ন কাজে আসে।
এরপর লারোয়া ব্রীজের ওপার থেকে সরষকাটি,খোরদো রাস্তাসহ পৌর সদরের রাস্তা গুলোর অবস্থা আরো খারাপ। অধিকাংশ রাস্তার পিচ ও ইট খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। যা দিয়ে জনসাধরণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে কলারোয়া কোল্ডস্টোরেজ মোড় থেকে বেলে ডাঙ্গা অভিমুখি রাস্তাটির অবস্থাও করুণ। এ রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসীর দাবি। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ উপজেলা সদরে নানাবিধ কাজে এসে থাকে। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর গর্তে পানি জমে যায়। এতে করে যানবাহন ও জনচলাচল ঝুঁকিপূর্ণ ।