সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে শাবিপ্রবি প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
বহিষ্কৃতরা হলেন সমাজবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। তিনি জানান, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শৃঙ্খলা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। এরপর তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেটে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চলতি বছরের গত ১৯ মে, নগরীর রিকাবীবাজারে কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে এক সহপাঠীকে অচেতন করে ধর্ষণ ও তা ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ ওঠে শান্ত ও স্বাগতর বিরুদ্ধে। ওই রাতেই পুলিশ তাদের আটক করে। উল্লেখ্য, গত ২০ মে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন আটক দুইজনসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে। গত ২৩ জুন আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
সিলেটে প্রায় প্রতিদিন করোনা রোগী বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার আরও একজনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মোট ২৬ জনকে পরীক্ষা করে তাকে সনাক্ত করা হয়। গতকালের একজনসহ বর্তমানে সিলেট বিভাগে করোনা সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮ জন। এদের মধ্যে ৫ জন কোভিড চিকিৎসার জন্য বিশেষায়ীত হাসপাতাল শহিদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া নর্থইস্ট, আলহারামাইন ও রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন করে করোনা আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন। অন্যদের মধ্যে ৫ জন নিজ দায়িত্বে বাড়িতে চিকিৎসাধীন। অপর দু’জন শহিদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সিলেটে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৪১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।