চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামে বিক্রির আদেশ পাওয়া কোটি টাকার ফেব্রিক্সসহ দুইটি কনটেইনার রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছে। প্রায় সাত মাস ধরে নিখোঁজ থাকা এসব কনটেইনারের খোঁজে গতকাল রোববার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বন্দর ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছে।
দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়। তিনি অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম থেকে প্রায় ২৭ টন ফেব্রিক্স ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় ক্রয় করেন নগরীর আলকরণ এলাকার শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক মো. সেলিম রেজা। নিলামের আগে তিনি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনারগুলো পরিদর্শনও করেন। পরবর্তীতে বিক্রয়াদেশ পাওয়ার পর মূল্য, শুল্ক ও অন্যান্য চার্জসহ মোট ১ কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তিনি।
কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি পণ্য ডেলিভারির জন্য ট্রাক নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে গিয়ে তিনি দেখতে পান, ফেব্রিক্সভর্তি কনটেইনারগুলো নেই। সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কনটেইনারগুলোর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
একইভাবে গত জুলাইয়ের শেষের দিকে নিলামে কেনা তপন সিংহ নামে আরেক ক্রেতার ৪২ লাখ টাকার ফেব্রিক্সসহ একটি কনটেইনারও হারিয়ে গেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এখনও সেটির অবস্থান জানাতে পারেনি।
শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম রেজা বলেন, “আমরা কাস্টমস কমিশনার বরাবর তিনটি চিঠি দিয়েছি। সাত মাস ধরে পণ্য আটকে আছে, ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ১ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছি। কিন্তু এখনো টাকা ফেরত পাইনি।”
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, “এমন দুটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।”
কনটেইনারগুলো কোথায় গেল এবং কীভাবে উধাও হলো—তা নিয়ে এখন তদন্তে নেমেছে দুদক।