ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দালাল চক্র নির্মূলে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ামিন সরকার বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্নভাবে প্রতারণা করেন দালালেরা। তাঁদের নির্মূলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানি করার অভিযোগে ৩৩ দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহানের নেতৃত্বে গতকাল সকাল থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের মধ্য থেকে ১৯ জন নারী এবং ১৪ জন পুরুষকে অপরাধ বিবেচনায় বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে হাসপাতালটা দালালমুক্ত করা যায়। এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করি, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চেষ্টা করি। মাঝে মধ্যে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কিছু সংখ্যক মানুষ, যারা আশপাশে বসবাস করে, তারা এই হাসপাতালকেন্দ্রিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আমাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না, যে কারণে যৌথবাহিনীর এই অভিযান। তিনি বলেন, যারা হাসপাতালের ডেইলি বেসিস কর্মচারী, দুই একজন পার্মানেন্ট কর্মচারিও আছেন। তাদের মধ্যেও কয়েকজন এসব কাজে জড়িত। এ ধরনের অপরাধে জড়িত অস্থায়ী কর্মচারীদের তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করার পাশাপাশি স্থায়ী কর্মচারীদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।