নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা : ‎পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি’র ৫ গ্রুপের অসহযোগিতা প্রকাশ্যে এসেছে। মনোনয়ন ঘোষণার পরে প্রথম জাতীয় প্রোগ্রামটি গত ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে এই আসনে (নেছারাবাদ, কাউখালী, ভান্ডারিয়া) উপজেলায় বিএনপির ৪ গ্রুপে আলাদা আলাদা বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করার মাধ্যমে। দিবসটি একসাথে করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে কেউ কথা রাখেনি। শেষে অনুপায় হয় গত ৭নভেম্বর সকালে পিরোজপুর-২ আসনের বিএনপি’র কেন্দ্র মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব আহম্মেদ সোহেল মনজুর সুমনের নেতৃত্বে একটি র্যালি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে স্বরূপকাঠী পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন নেতাকর্মীরা।

‎‎সভা ও র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক- মোঃ নজরুল ইসলাম খান। এ সময় স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপি সাবেক মেয়র ও আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন- পৌর বিএনপি’র সভাপতি- আলহাজ্ব কাজী মোঃ কামাল, আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈনুল হাসান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামাদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতৃবৃন্দ। কিন্তু সেখানে ঐ আসন থেকে মনোনয়ন বঞ্চিতরা কেউ কেন্দ্র ঘোষিত প্রার্থীর সাথে মাঠে নামেনি। ফখরুল আলম, মাহমুদ এবং আলবিরুনী সৈকত আলাদা আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করে।

‎‎দলের নেতার কর্মীরা বলেছেন- কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করেছেন এ তালিকা চূড়ান্ত তালিকা নয়; রদ বদল আসতে পারে। এই আশায় নেতা-কর্মীরা তার নেতার পক্ষে কর্মসূচিতে মাঠে নামে এবং নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করে। দুইদিন পরে “নেছারাবাদে প্রার্থী চাই” এই ব্যানারে মহিলাদের একটি মিছিল বের করা হয়। যদিও কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা ফখরুল আলমের সমর্থক। কিন্তু সবচেয়ে কর্মী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ ১বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকায় তার পূর্বের অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করছেন।

‎‎নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি’র মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক আহবায়ক মো ফখরুল আলম ও সদস্য সচিব তরুন নেতা আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করেন। তিনি তার নেতাকর্মীদের নিয়ে র্যালি ও পথসভার আয়োজন করে। পরের দিন ৮ নভেম্বর ভান্ডারিয়া কলেজের সাবেক ভিপি মনোনয়ন বঞ্চিত মো মাহমুদের অনুসারীরা দিবসটি উপলক্ষে নেছারাবাদে র্যালি করেছে। সর্বশেষ ৭ নভেম্বরের পরে এ পর্যন্ত প্রার্থী এবং অন্যান্য নেতাদের চোখে পড়ার মত তেমন কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। এতে করে কর্মীদের মাঝে কিছুটা হলেও হতাশা কাজ করছে।