জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, রমযান হচ্ছে মানবতার মুক্তি সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিলের মাস ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস। কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রশিক্ষণ হিসেবে রমযান উৎকৃষ্ঠ সময়। শুধুমাত্র প্রচলিত আইন ও বিচার দিয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সমাজে দিন দিন অপরাধ প্রবণতা বেড়ে চলেছে। খোদাভীরু নেতৃত্ব ও আল্লাহর ভয় একজন মানুষকে সবধরণের পাপাচার থেকে বিরত রাখতে পারে। রমযান আমাদেরকে সেই শিক্ষা দেয়। তাই রমযানে পরিপূর্ণ মুত্তাকি হওয়ার শপথ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষী জুলুমকারী জালিমদেরকে লজ্জাজনক পরিনতি বরণ করতে হয়েছে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল কিন্তু আজ তারা নিজেরাই পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদেরকে এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ক্ষমতার অপব্যবহারের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে। ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে না। সামাজিক বৈষম্য ও ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে আনতে মাহে রমযান হচ্ছে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কুরআন নাযিলের মাসে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ নিতে হবে।

তিনি গত শনিবার সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার ৩৮নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত ‘রামাদ্বানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ওয়ার্ড সভাপতি প্রভাষক দুলাল আহমদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা হোসাইন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা পাঠানটুলা সিলেটের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান হুমায়দী, মহানগর জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক মুফতি আলী হায়দার, জালালাবাদ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব।

মাহফিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড ও ইউনিট জামায়াত নেতাকর্মী ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৬ শতাধিক রোযাদার অংশ নেন। ইফতার মাহফিলে মুসলিম উম্মাহ, দেশ জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।