ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পানি ছিটিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হলো এএমবি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা। এছাড়াও প্রধান ফটকে লাল নিশানাসহ ব্যানার টাঙ্গিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আরো ৪টি ইটভাটা। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কয়েকজন ভাটা মালিক অভিযোগ করে বলেছেন, ৩০টি ইটভাটা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলেও ৩৯টি ইটভাটায় অবাধে পুড়ছে কাঠ। সেদিকে নজর নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
ভেড়ামারা উপজেলায় ৪৪টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৩টি ইটভাটার। ৩০টি ইটভাটা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে হাইকোর্টের আদেশের বিপক্ষে রিট পিটিশন দাখিল করেছে। বাকি ১১টি ইটভাটার কোনো কাগজপত্রই নেই। তারপরও ইটভাটা গুলো ইট পুড়াচ্ছে দেদারছে। সূত্র জানিয়েছে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ১৩৭০৫/২০২২ এর প্রেক্ষিতে ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ এর প্রদত্ত আদেশ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের আদেশ অনুযায়ী ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম ১২ মাইল এলাকার এএমবি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় অভিযান চালায়। এসময় কাগজপত্র না দেখাতে পারায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে এসে পানি ছিটিয়ে নিভিয়ে দেওয়া হয় ইটভাটা। জরিমানা করা হয় ১ লক্ষ টাকা। পরে কেএমবি ব্রিকস, এএন্ডএইচ ব্রিকস, এনএসবি ব্রিকস, ও এজিএম ব্রিকস অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয। প্রধান ফটকে টানিয়ে দেওয়া হয় লাল নিশানা ও বন্ধের ব্যানার। এসময় আইএমআর ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে অংশনেন, ভেড়ামারা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আনোয়ার হোসাইন, ভেড়ামারা থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকায় ৪টি ইট ভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ইট প্রস্তুত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদ, পঞ্চগড় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলীকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকায় বোদা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পানি দিয়ে ইট ভাটার ৪ টি চুলার আগুন নিভিয়ে দেয় এবং এস্কেভেটর দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। ভেঙে দেয়া ৪ টি ইট ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি সফিউল্লাহ সুফি, বোদা থানা পুলিশসহ ইট ভাটার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রামগতি (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটার ৫টিতে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে এসব ইটভাটার মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় কোনো কাগজপত্র না থাকায় চিমনিসহ ইটভাটাগুলোর ভাটা ও কাঁচা ইট এস্কেলেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ইটভাটার কার্যক্রম দৃশ্যমান না থাকায় ভবিষ্যতেও কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন মর্মে মালিকের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে। উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নে ২৩ টিসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৫০টি ইটভাটা রয়েছে। অভিযানে ধ্বংস করা ইটভাটাগুলো হচ্ছে চর নেয়ামত গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পান্না ব্রিকসকে নগদ ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় চর আফজল গ্রামের তাহের বিশ্বাসের ৪ স্টার ব্রিকসকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, চর আলগী গ্রামের মেসার্স এ টি সি ১ ও ২ ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা, এবং একই এলাকার আল্লাহ দান মালিক না পাওয়ায় ফিল্ড মাঝিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।