বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামী মূল্যবোধকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে—এমন অভিযোগ তুলে যশোরে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জমঈয়ত সুবহানে আহলে হাদিস বাংলাদেশ, যশোর জেলা শাখা। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামী মূল্যবোধকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে—এমন অভিযোগ তুলে যশোরে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জমঈয়ত সুবহানে আহলে হাদিস বাংলাদেশ, যশোর জেলা শাখা।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দেশ মুসলমানের দেশ। এখানে ইসলামবিরোধী কোনো শিক্ষা আমরা মেনে নেব না। সংগীত শিক্ষক নিয়োগের নামে অশ্লীলতা চাপিয়ে দিলে দেশ ও জাতি ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা আরও বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ জনগণ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষানীতিতে ইসলামবিরোধী ধারা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের চরিত্র গঠন, নৈতিকতা ও আখলাক গড়ে তোলার পরিবর্তে নাচ-গান শেখানো হচ্ছে। তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাই আলোকিত মানুষ বানাতে, কিন্তু সেখানে তাদেরকে নাচ-গানের অশ্লীল সংস্কৃতি শেখানো হচ্ছে। এটি মুসলিম সমাজকে ধ্বংস করার একটি নীলনকশা।

বক্তারা সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ধর্মীয় শিক্ষক ছাড়া কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় চলতে পারে না। সংগীত শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা ইসলামের শিক্ষা ও মুসলিম সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অবিলম্বে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করতে হবে, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মাওলানা আব্দুর রহিম , কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য, বাংলাদেশ আহলে হাদিস যুব সংঘ, বলেন—বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমানকে বিপথে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে বাদ দিয়ে সংগীত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চুপ করে থাকব না। সরকার যদি ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় ব্যর্থ হয় তবে এ জাতির মুসলমান কঠোর আন্দোলনের পথে নামবে।

অধ্যাপক আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, আহলে হাদিস যুব সংঘ যশোর, বলেন—আজ প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে, কাল নাচের শিক্ষক হবে, পরশু দিন নাটক বা নাট্যশালা চালু হবে। এভাবে ধাপে ধাপে মুসলিম প্রজন্মকে ধর্মহীন করার পরিকল্পনা চলছে। আমরা এই ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। ইসলামবিরোধী সব কার্যক্রম প্রতিহত করতে হবে।

মাওলানা হারুনুর রশিদ, জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা জয়নাল আবেদীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম, মাওলানা খলিলুর রহমান, হাফেজ তরিকুল ইসলামসহ অন্যান্য বক্তারা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন বাংলাদেশের মানুষ ইসলামী চেতনায় বিশ্বাসী। এ দেশের সংবিধানেও আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকৃত। সেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে ইসলামবিরোধী ধারা চাপিয়ে দেওয়া এক প্রকার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ। আমরা বলছি, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হবে। সংগীত শিক্ষার নামে অশ্লীলতা চাপিয়ে দেওয়া হলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।

বক্তারা শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামী নীতি, কোরআন-হাদিসভিত্তিক শিক্ষা ও নৈতিকতা অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান। তারা বলেন, আমরা চাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে যোগ্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক। মুসলমান শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করা হলে তা কখনো সফল হবে না। বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই।

মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে দৃঢ়ভাবে দাবি জানান, অবিলম্বে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।###

মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে দৃঢ়ভাবে দাবি জানান, অবিলম্বে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।