ছোটো বেলা থেকেই আব্বার সাথে এই সুন্দরবনে মাছ ধরতে আসি। জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় এই বনে পাশ নিয়ে মাছ ধরেছি। বনে মাছ ধরে যা আয় হয় তাই দিয়ে আমাদের সংসার চলে। বাড়ি ৬ জন মানুষ সবার আমার আয়ের উপর নির্ভরশীল। সুন্দরবন যখন বন্ধ থাকে তখন আমাদের খুব কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়, বাইরে কোথাও কোন কাজ কাম পাওয়া যায় না। দু’মুঠো ডাল ভাত খেয়ে থাকতে হয়। আমাদের গ্রামের বাইরে কোন কাজ কাম পাওয়া যায় না, পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে থাকতে হয়। সুন্দরবনে পাস নিয়ে মাছ ধরতে যাই। বাড়ি থেকে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাই আবার বাড়ি ফিরে আসি সেই মাছ বাজারে বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে সংসার চলে। আমার নিজস্ব কোন জায়গা জমি নেই, নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এভাবেই কথাগুলো বলেছেন সুন্দরবনের জেলে আব্দুর রশীদ।
সুন্দরবনের মাছ ধরতে আসা কয়েকজন জেলে বলেন, সুন্দরবনের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। টানা ৩ মাস বন্ধ থাকার পরে ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে পাশ নিয়ে গহীন সুন্দরবনে মাছ ধরছি। এতে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। মাছ বিক্রি করে যে টাকা ইনকাম হয় তাই দিয়ে আমাদের সংসার চলে। তারা আরও বলেন, যখন সুন্দরবন বন্ধ থাকে সে সময় অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়। অন্যের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার নিয়ে সংসার চালাতে হয়।
সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ খুলনা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন “জুন, জুলাই, আগস্ট এই ৩ মাস নিষেধাজ্ঞার পর থেকে সরকারি বিধি মোতাবেক মাছ, কাঁকড়া ধরার জন্য পাশ পারমিট স্টেশন থেকে নিয়ে গহীন সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন বনজীবীরা তারা যেন ছোট প্রকৃতির মাছ ধরতে না পারে সেদিকে সতর্ক রাখা হয়েছে। বন বিভাগের নিয়মিত টহল চলমান আছে।