গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক বলেছেন, টাইফয়েড একটি সংক্রামক ব্যাধি। এতে শিশু-কিশোররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য টাইফয়েড টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা সময়ের দাবি। তিনি বলেন, সময়মতো টিকা নিলে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। তিনি আরও বলেন, টিকা প্রদানের মাধ্যমে প্রাণঘাতী নানা রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশব্যাপী টাইফয়েড প্রতিরোধমূলক টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম হোটেল সৈকতের হালদা কনফারেন্স হলে জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রামের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ উপলক্ষে স্কাউট ও গার্লস গাইডদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম। প্রবন্ধে বলা হয়, টাইফয়েড অপরিচ্ছন্ন খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক জটিলতা ও অপুষ্টি দেখা দিচ্ছে। এ কারণে বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাইফয়েড টিকাদান এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর হোসেন আহসানুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক অনসূয়া বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক গোলাম সারওয়ার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী শাম্মীনাজ আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এবং চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ। সভায় সরকারি কর্মকর্তা ও প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।