বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন ও স্টাফ রিপোর্টার কামরুল হোসেন মনির উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করার মামলার ১০ দিন পার হলেও হামলাকারীদের গ্রেফতারে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। কোন অদৃশ্য কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিক মহলে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে দুইজন সিনিয়র সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খুলনার সাংবাদিক মহল।

জানা গেছে, রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এহতেশামুল হক শাওন বাদী হয়ে বিপ্লব ওরফে আবির (৩৮)সহ অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে এ মামলা করলেও কোনো অদৃশ্য কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার আসামীদের গ্রেফতার করেনি। খুলনায় প্রকাশ্যে দিনদুপুরে দুই জন সিনিয়র সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে নানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে দ্রুত সময় বেঁধে দেয়।

তবে, মামলায় আসামীর নাম উল্লেখ থাকার পরও অধরা আসামীদের কোন অদৃশ্য কারণে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না, তা নিয়ে নতুন করে ক্ষোভ ও প্রশ্ন উঠেছে খুলনার সাংবাদিক মহলে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলনার দুই সিনিয়র সাংবাদিকের উপর হামলাকারী তথা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিপরীতে পুলিশ বলছে, সাংবাদিকদের উপর হামলা কোনোভাবে মেনে নেওয়ার নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করাও আমাদের উপর বড় চ্যালেঞ্জ ও কাজ। মামলায় আসামীদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় তাদের শণাক্তে কিছুটা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে। তথাপি তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলমান আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতারে সক্ষম হবে পুলিশ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

হামলার শিকার সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল হোসেন মনি জানান, মামলার পরও পুলিশ কোন অদৃশ্য কারণে আসামী ধরছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। আসামীর নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে, এই সূত্রটি ধরে পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আসামী ধরতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। আসামী গ্রেফতারে ব্যাপারে কোনো অদৃশ্য কারণ অথবা আন্তরিকতার অভাব ছাড়া আমি আর অন্য কিছু দেখছি না।

মামলার বাদী সিনিয়র সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন জানান, গত ৯ নভেম্বর আমি মামলা করি। পুলিশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। প্রকাশ্যে আমার উপর হামলা করলো, পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এতে আমি নিজেকে অনিরাপদ মনে করছি।

এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, খুলনার সিনিয়র দুই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ও কাজ। মামলায় আসামীদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় তাদের শণাক্তে কিছুটা প্রতিকূলার মুখে পড়তে হচ্ছে। তথাপি আসামী গ্রেফতারের জোরদার প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতারে সক্ষম হবো।