শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা: শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিররুল ইসলাম এর দিক নির্দেশনায় থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ূন করিব মোল্লা এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) আব্দুর রহিম এবং সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে গত ৯ এপ্রিল বুধবার রাতে শ্যামনগর থানার মামলা নং-১০/১০২, তারিখ-০৯/০৪/২০২৫, ধারা-৪৬৮/৪২০ পেনাল কোড, ১৮৬০; এর মামলায় এজাহার নামীয় আসামী মোঃ আল ইমরান রনি (২৭), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, গ্রাম-ঠেকরা রহিমপুর (কুশলিয়া), থানা-কালিগঞ্জ, রাজেন্দ্র নাথ মন্ডল (৪৫), পিতা- কৃষ্ণপদ মন্ডল, নিপা মন্ডল (৪১), পিতা- ঠাকুর দাস সরকার, উভয় গ্রাম-হরিণ খোলা, উভয় থানা-পাইকগাছা, জেলা—খুলনা দের কে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ূন করিব মোল্লা এ প্রতিবেদককে জানান, বিভিন্ন মামলায় ৩ আসামীকে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
৬ নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
শ্যামনগর সুন্দরবনে দুর্ধষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অপহরণকৃত ৬ জন নারীসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সুন্দরবনের দুর্র্ধষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী তাদের গোপন আস্তানায় ১৬ টি নৌকা সহ ৩৩ জন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৯ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১ টা হতে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও আউটপোস্ট নলিয়ান কর্তৃক সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল ফাঁকা গুলী ছুড়ে অতি দ্রুত বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত এলাকা হতে অপহরণকৃত ৬ জন নারী সদস্য সহ ৩৩ জন জেলেকে ১৬টি বোটসহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা গত ৯ এপ্রিল সকালে মাছ ও কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে কয়রা হতে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে গমন করে।
পরবর্তীতে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী তাদের জিম্মি করে প্রতিজনের নিকট হতে ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। উদ্ধারকৃতদের কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রাতে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবার প্রদান করা হয়। তারা সকলেই খুলনা জেলার কয়রা থানার বাসিন্দা। বোটসহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আওতাধীন এলাকাসমূহে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা বিধান, জলদস্যু ও বনদস্যু দমন এবং নিরাপদ সুন্দরবন গঠনে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী টহল অব্যাহত রেখেছে। যার জন্য এলাকা সমূহের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। এরূপ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।