চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক জুবায়ের হোসেন বহুল আলোচিত আনোয়ারুল ইসলাম আনার এমপির মেয়ে ডরিনের স্বামী, সম্রাটের কেসিনো বাহিনীর সদস্য এবং শেখ হেলালের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ইমিগ্রেশনে জালিয়াতি করে অবশেষে আইনের জালে ধরা পড়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একাধিক বিদেশ সফরের সঙ্গী হওয়া এই বিতর্কিত নেতা বৃহ¯পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাসপোর্টের সিল জালিয়াতি প্রতীয়মান হয়। পরে তারা দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করে চেকপোস্টে ফেরত পাঠালে সন্ধায় ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে। ১৯ সেপ্টেম্বর দর্শনা থানা পুলিশ বিষয়টি সংবাদকর্মীদের না জানিয়ে গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে প্রতারণা মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করে। আটককৃত জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার রাজের গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর ই-০০৪৪৮২০।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর জানান, শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি সংবাদকর্মীদের না জানানো বিষয়ে বলেন- বাস্ততায় ভুলে গিয়েছিলাম। তবে গত রাত পর্যন্তও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেসরিলিজ দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে থাকা জুবায়ের হোসেনের নাম এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে আসে। কেসিনো কান্ডের সময় তিনি ছিলেন আলোচিত সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও কেসিনো বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে শেখ হেলালের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পারিবারিক স¤পর্কও তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে কারণ তিনি মাফিয়াখ্যাত আনার এমপির মেয়ে ডরিনের স্বামী। সবশেষে রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগে আড়ালে থাকলেও এবার আইনের জালে আটকা পড়লেন জুবায়ের হোসেন।