পঞ্চগড় সংবাদদাতা: আগামীকাল বুধবার পঞ্চগড়ে আসছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি জেলা শহরের চিনিকল মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিবেন।
ডা. শফিকুর রহমানের এই আগমন ঘিরে নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে প্রচারণা। শহর-গ্রাম সর্বত্র লাগানো হয়েছে পোস্টার-ফেস্টুন, চলছে মাইকিং। শোডাউন আর স্বাগত র্যালিতে যেন উৎসবের আমেজ নেতাকর্মীদের মাঝে।
এদিকে, জনসভা সফল করার লক্ষে পুরো কর্মসূচি ঘিরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে জেলা জামায়াত। গতকাল সোমবার দুপুরে দলটির জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মফিজ উদ্দীন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল বাশার বসুনিয়া, জেলা জামায়াতে ইসলামীর মিডিয়া সেক্রেটারি শাহীদ আল ইসলাম, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন সরকার, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি জুলফিকার রহমান, সেক্রেটারি রাশেদ ইসলাম প্রমূখ।
বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা উত্তরের হিমালয় দূহিতা পঞ্চগড়কে একটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির আদর্শ জেলা হিসেবে রুপান্তরিত করতে চাই। এখানে থাকবেনা সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম, চরিত্র বিধ্বংসী অশ্লীল কর্মকান্ড, মাদক সেবন-বিক্রি ও বিপণন, মাস্তানী, দখলদারিত্ব আর চাঁদাবাজি। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুবিধামন্ডিত পঞ্চগড় হবে বসবাসযোগ্য, ভয়হীন এবং বৈষম্যমুক্ত। আমরা সবার জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। আমাদের সেই প্রত্যাশাকে পঞ্চগড়বাসীর উদ্দেশ্যে তুলে ধরতে আমরা এই জনসভার আয়োজন করেছি।
তিনি আরও বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি আমীরে জামায়াতের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে আশাকরছি। আমরা লক্ষাধিক মানুষ সমাগমের আয়োজন করেছি। জনসভায় সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি, সুধী-শুভাকাঙ্খী, ও সকল জনগণকে দল-মত নির্বিশেষে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানাই।
জানা গেছে, ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে পঞ্চগড়ের জনসভায় উপস্থিত থাকবেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দীন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ডা. শফিকুর রহমান পঞ্চগড় সফরে এসেছিলেন। সেসময় করতোয়া নদীতে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে নিহত ৭১ জনের পরিবারকে সহায়তা এবং সমবেদনা জানান তিনি। এরপর ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল আবার এসেছিলেন পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিতে।