সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেরার ফাজিলপুর খেয়া ঘাটের দখলনামা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদি এর যৌথ বেঞ্চ গত ৯ এপ্রিল ৬০৯৩/২৫নং রিট পিটিশন শুনানী শেষে এই আদেশ প্রদান করেন। একই ষ্টেশনের লিজ বিআইডব্লিউটিএ ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ থেকে প্রদান করা হয়। এ জন্য বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদার তাহিরপুরের ননাই গ্রামের রতন মিয়া মাহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগে ৬০৯৩/২৫নং রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন।

রিটকারীর আবেদন ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ পর্যালোচনায় জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর বাজারের নিকটবর্তী আবুয়া নদীর মুখ হইতে তাহিরপুর উপজেলা যাদুকাটা নদীর মুখ পর্যন্ত উভয় তীরের মালামাল উঠানামার জন্য বিআইডব্লিউটিএ প্রতি বছর ইজারা প্রদান করে থাকে। একই সীমানার মধ্যে ফাজিলপুর ও ঘাগরা নামে আরও দুটি ইজারা প্রদান করা হয় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ থেকে। একই সীমাভূক্ত একই ঘাট সরকারের দুটি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইজারা প্রদান করায় ইজারাদার ও পন্যবাহী নৌ—শ্রমিকদের মধ্যে অস্তিরতা দেখা দেয়। একাধিক জায়গায় চাঁদার টাকা দিতে দিতে পন্যের দাম বেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদার রিটকারী রতন মিয়া জানান আদেশের কপি তিনি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রদান করে রিসিভি সংগ্রহ করেছেন। আদেশমতে ফাজিলপুর খেয়া ঘাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।