গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মোথাজুরী এলাকায় ঘটেছে এক রোমহর্ষক ও নজিরবিহীন ঘটনা। নেশাগ্রস্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যুবক সজিব হোসেন রাতের আঁধারে পারিবারিক কবরস্থান থেকে নিজের মা খোদেজা বেগমের লাশ তুলে এনে ঘরে নিয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে—সে লাশের পাশে রাতটাও কাটায়।
রবিবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছিল খোদেজা বেগমকে। এর আগের দিন মাদকাসক্ত ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে পরিবার ও পুলিশ।
সোমবার সকালে স্থানীয়রা কবর খোলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহে পড়ে। পরে জানা যায়, সজিব রাতভর ঘর বন্ধ করে রেখেছে এবং আচরণেও অস্বাভাবিকতা দেখা দিচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরের তালা ভাঙলে দেখা যায়—মশারির নিচে লেপ–কাঁথায় মোড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে খোদেজা বেগমের লাশ। এ সময় ঘরজুড়ে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল।
ঘটনার আগের রাতে সজিব তার মামা আব্দুল মান্নান মিয়াকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করে— মাকে কেন মাটিতে দিলেন? একই সঙ্গে স্বজনদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ পরিবারটির। এতে আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকাজুড়ে।
পুলিশ জানায়,ঘটনাটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও মর্মান্তিক। স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ পুনরায় দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মোথাজুরি গ্রামে এখনো আতঙ্ক ও কৌতুহল বিরাজ করছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে— মাদক একজন মানুষকে অমানবিকতার এমন চরম সীমায় ঠেলে দিতে পারে, যা সাধারণ কল্পনারও বাইরে।