খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় অর্ধশতাধিক রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট সম্পূর্ণ অনিয়ম ও বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কৈলাশগঞ্জ ও বানিয়াশান্তা ইউনিয়নে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাস জমি দখল করে গড়ে উঠেছে এ সব রিসোর্ট। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বেআইনিভাবে এসব রিসোর্ট নির্মিত হয়। বর্তমানে রিসোর্টগুলোতে প্রকাশ্যে চলছে দেহ ব্যবসা, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দালাল ও প্রভাবশালীদের সহায়তায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাত্রিযাপন করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে টিকটক ও ভিডিও কনটেন্ট তৈরির নামে অশ্লীল পোশাক পরে আসা তরুণ-তরুণীরা স্থানীয় পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কোনো কোনো সময় প্রকাশ্যে অশ্লীল ভিডিও ধারনের ঘটনাও ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, এসব রিসোর্টের কারণে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। অনেকেই বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। রিসোর্ট মালিকদের বিরুদ্ধে কথা বললে প্রভাবশালী মহল ও রাজনৈতিক নেতাদের ফোন আসে, এমনকি প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চললেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ অস্বীকার করে বনবিবি রিসোর্টের মালিক সুমন পারভেজ বলেন, এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য ম্যানেজারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন জানান, আমরা সকল নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করবো। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসমত হোসেন বলেন, রিসোর্টগুলো যাতে নিয়ম মেনে পরিচালিত হয় সে জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।