বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নদীর পাশের সড়ক। পানির চাপে ধসে পড়ছে সড়ক রক্ষায় ফেলা বালির বস্তার জিও ব্যাগ। এক বছর আগে বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী-রনবিরবালা সড়কটি অন্তত ১০০ মিটার সড়ক রক্ষার জন্য এই জিও ব্যাগ বসিয়েছিলেন। জিও ব্যাগ ধসে যাওয়ার কারণে সড়কটির ওপর দিয়ে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ইজিবাইক চালক করা সাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন বলেন, চলতি আগস্ট মাসে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে করতোয়ার নদীতে পানি ভরে উঠেছে। নদীতে বেড়েঝে পানি প্রবাহের চাপ। এতেই সড়ক রক্ষার জন্য যে সকল জিও ব্যাগ বসানো হয়েছিল তা পানির চাপে ধসে পড়ছে। শনিবার (৯আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এক বছর আগে নদীর এই পাড় ধসে যাওয়া থেকে রক্ষার জন্য বালির জিও ব্যাগ বসিয়েছিল। এখন নদীর কিনারে থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে ধসে পড়ছে এসকল জিও ব্যাগ। ইতিমধ্যে জিও ব্যাগগুলো সরে গেছে। এতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অন্তত ১০০ মিটার সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই সড়কটি ২০২২ সালে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৩০০ মিটার মেরামত করা হয়েছিল। মেরামতের মধ্যে অন্তত ১৩০ মিটার ছিল করতোয়া নদীর পাড়। এই অংশটুকুই ঝুঁকিপূর্ণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী বাজারে প্রতিদিন ভোর থেকে বসে উপজেলা সর্ববৃহৎ সবজির বাজার। এই শেরপুরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ধুনট ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সবজি চাষিরা এই বাজারে তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য তুলে থাকেন। পানির চাপে ধসে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়া সড়কটি এই বাজারে প্রবেশের প্রধান সড়ক। গাড়ীদহ ও খামারকান্দি ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের কৃষকরা বলেন, সড়কটির ধসে পড়ার আগেই রক্ষা করা দরকার। দ্রুত তা না করা হলে কৃষকদের সবজি বাজারে তোলা নিয়ে সমস্যায় পড়বে। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করবেন।