বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে যে নির্বাচন ব্যবস্থা দেশের মানুষকে শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে, দেশ আবারও তেমন একটি নির্বাচনের দিকেই এগুচ্ছে। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা সরকারি বিএল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ছাত্রশিবির বিএল কলেজ শাখার সভাপতি হযরত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন, মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলম, বিএল কলেজের ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মোকারম বিল্লাহ আনসারী ও মোশারফ আনসারি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগরী ছাত্রশিবির সেক্রেটারি রাকিব হাসান, বিএল কলেজ ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মুনসুর আলম চৌধুরী ও আশরাফ হোসেন, কলেজ শাখার সেক্রেটারি হোসাইন আহমেদ, অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ বুখারী, আবুল কাশেম, আবির হোসেন, ইয়াছিন আরাফাত, ইসরাফিল হোসাইন এবং প্রচার সম্পাদক বেলাল হোসাইন। অনুষ্ঠানে বিএল কলেজের অধ্যক্ষ সেখ হুমায়ুন কবির, উপাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ও অধ্যাপক হারুনুর রশিদসহ বিভিন্ন শিক্ষকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “আগামীর বিশ্ব হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) যুগ। সুতরাং নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে এখন থেকেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা ও বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখার মাধ্যমেই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের জায়গা তৈরি করা সম্ভব।” তিনি অভিযোগ করেন, “২০০৮ সাল থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু বেকার তৈরি করেছে।

বৈষম্যের বিরুদ্ধে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, যার মধ্যদিয়েই একটি অনিবার্য বিপ্লব সাধিত হয়েছে।”

সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যে ব্যক্তি একদিনও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, তিনি স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে যান।

মাত্র তিন বছরের মাথায় বাকশাল কায়েম করে দেশকে এক অনিবার্য দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দেন। এরপর সেনা শাসন, স্বৈরশাসন, কিছুদিনের জন্য গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তন, পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদের উত্থান-এই রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তের মধ্যদিয়েই দেশের তরুণ সমাজ রাজপথে নেমে আসে। তিনি উল্লেখ করেন, “ফ্যাসিবাদ বিদায়ের আন্দোলনে শুধু দেশের ছাত্র-জনতাই নয়, প্রবাসী ১ কোটি ৫৫ লাখ রেমিট্যান্স যোদ্ধাও ভূমিকা রেখেছিল। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।

এ দেশকে নতুনভাবে গড়তে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”